রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আক্তার জাহানের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ৩০৩ নং কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
জুবেরী ভবনের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন থেকে আক্তার জাহানকে দেখা যাচ্ছিল না। শুক্রবার দুপুরে তার ছেলে অন্য শিক্ষকদের মুঠোফোনে জানান, সে তার মাকে মুঠোফোনে পাচ্ছে না। এরপর বিষয়টি অন্য শিক্ষকেরা জানার পর জুবেরী ভবনে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, পুলিশ ও বিভাগের শিক্ষকেরা গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘরের ভেতরে মশারির ভেতর শোয়া অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি শাতিল সিরাজ জানান, তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহিনুল ইসলাম বলেন, তাকে সোয়া পাঁচটার দিকে আমার কাছে আনা হয়। তাতে দেখে মনে হয়েছে নিয়ে আসার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
নগরীর মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলা যাবে না।’
এদিকে নিহত শিক্ষিকার সহকর্মীরা হাসপাতালে জানান, প্রায় এক বছর আগে স্বামী তানভীর আহমেদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে আক্তার জাহানের। তার সাবেক স্বামী তানভীর আহমেদও রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক। বিভাগের সাবেক সভাপতি তানভীর আহমেদ দ্বিতীয় বিয়ে করে ক্যাম্পাসের আলাদা একটি কোয়াটারে থাকেন। অন্যদিকে জুবেরি ভবনের ওই কক্ষে একাই থাকতেন আক্তার জাহান। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি।
বিবার্তা/রিমন/রয়েল