বাজার থেকে যে ঢেঁড়স আপনি কিনে খান, তার খাদ্যগুণের কথা কি জানা আছে? বিশ্বের সর্বত্র আপনি এই সবজিটি পেয়ে যাবেন। কোথাও এর পরিচয় ‘ওকরা’, কোথাও আবার লেডিস ফিঙ্গার।
তা যে নামেই আপনি ডাকুন, তাতে গুণাগুণ এতটুকু কমে না। বরং, পুষ্টিমানের নিরিখে ঢেঁড়স সেই কবেই হয়ে উঠেছে ‘নিউট্রিশন হিরো’। তা ছাড়া, অনেক রোগেরও প্রাকৃতিক দাওয়াই এই সবজিটি।
ঢেঁড়সে আপনি পাবেন ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ৭.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস, ৮০ মাইক্রো গ্রাম ফোলেট, ০.১ গ্রাম ফ্যাট এবং ক্যালরি সর্বসাকুল্যে ৩০।
কেন খাবেন
১. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
২. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি ঠিকঠাক ওষুধ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৪. অ্যাজমার রোগীরাও এটি খেলে উপকৃত হবেন।
৫. কিডনিকে রক্ষা করে।
৬. খাবার থেকে গ্লুকোজ সরাসরি শুষে নিয়ে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়।
কখনও ঢেঁড়স ভাজা, কখনও ঢেঁড়স সেদ্ধ, কখনও আবার সর্ষে ঢেঁড়স। ঢেঁড়সের টকও খান কেউ কেউ। কিন্তু, ঢেঁড়সের গুণমান বজায় রাখতে হলে, আপনাকে কাঁচাই খেতে হবে। ভাজাভুজি একদমই চলবে না।
যেভাবে খাবেন: দুইটা ঢেঁড়সের ল্যাজামুড়ো বাদ দিয়ে, টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। তার আগে অবশ্য ঢেঁড়সগুলো ভালো করে ধুয়ে নেবেন। একগ্লাস পানিতে সারারাত ধরে সেই ঢেঁড়সের টুকরোগুলো ভিজতে দিন।
কখন খাবেন: পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালিপেটে ওই ঢেঁড়সের পানিটি খেয়ে নিন। এটি খাওয়ার পর, অন্তত ১০ মিনিট আর কিছু খাবেন না। প্রাতঃরাশ করুন ১০ মিনিট পরে। প্রথম দিন খেতে একটু অস্বস্তি হলেও, পরে অভ্যেস হয়ে যাবে।
বিবার্তা/জিয়া