কথায় বলে ‘যস্মিন দেশে যদাচার’। অর্থাৎ কোনো এলাকা বা দেশে বেড়াতে গেলে সেখানকার রীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তা মেনে চলাটাই নিয়ম। না হলে হিতে বিপরীত হতে কতক্ষণ। দেখা গেল নির্দোষ কোন আচরণ কোনো রীতি লঙ্ঘন করে গুরুতর ভুল বোঝাবুঝির সূত্রপাত ঘটিয়ে ফেলেছে অজান্তেই। তাই কয়েকটি দেশে ভ্রমণে গেলে যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে সামাজিকতা করা উচিত তা তুলে ধরা হলো:
• রাশিয়াতে কোন উৎসবে অবশ্যই বেজোড় সংখ্যক ফুল উপহার দিতে হয়। জোড় সংখ্যক কিছু উপহার দিবেন না।
• নিউজিল্যান্ডে সমুদ্রে ভুলেও সাঁতার কাটবেন না। এখানকার সমুদ্রে হাঙ্গর নেই কিন্তু জোয়ারের স্রোতে আপনি মারা যেতে পারেন।
• জাপানে কাউকে বকশিস দিবেন না। জাপানিরা বকশিস দেয়া বা নেয়াকে অপমানজনক মনে করে।
• নরওয়ের জনগণ সমুদ্রের ধারে নগ্ন হয়ে থাকতে পছন্দ করে। আপনি যদি নরওয়েতে গিয়ে কোন নারী বা পুরুষকে নগ্ন অবস্থায় সমুদ্রের পাশে দেখেন তাহলে তাকিয়ে থাকবেন না। তারা অযথা তাকিয়ে থাকা পছন্দ করে না।
• ভুলেও কোনো রাশিয়ানের কাছে তার দেশ নিয়ে আজেবাজে কথা বলতে যাবেন না। এতে রাশিয়ানদের মেজাজ বিগড়ে যায় এবং আপনার মার খাওয়ার আশঙ্কা আছে।
• মালয়েশিয়া গেলে কারও মাথার উপরিভাগে হাত দিবেন না।
• মহিলাদের কেউ মালয়েশিয়ার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের শরীরে হাত দিবেন না।
• ভারতে ভ্রমণকাল পা দিয়ে কোন কিছু স্পর্শ করবেন না।
• কেনিয়ানরা পুরো শরীর ঢেকে জামা পড়তে পছন্দ করে। কেনিয়াতে গিয়ে ছোট জামা পড়বেন না।
• জার্মানিতে নাৎসি বাহিনীর স্বস্তিকা চিহ্নের কোনো পোশাক পরবেন না।
• জার্মানদের জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা দেবেন না।
• ইন্দোনেশিয়ায় গেলে বাম হাত দিয়ে কোনো কাজ করবেন না।
• ইতালিতে কেউ খাবার পরিবেশন করলে না করবেন না। এটাকে ইতালিয়ানরা অপমান হিসেবে নেয়।
• চীনে জাতীয় দিবসগুলোতে কোনো দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে যাবেন না। এতে ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
• চীনে কাউকে উপহার হিসেবে ঘড়ি বা ছাতা দিবেন না।
বিবার্তা/জিয়া