বাসা থেকে বের হয়েছেন, একটু পরেই পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু রাস্তায় অনেক জ্যাম। ব্যাপার না ‘হোভার বাইক’ আছে না! উড়ে চলে যান পরীক্ষা কেন্দ্রে। কথাটি শুনতে হাস্যকর মনে হলেও সেই দিন হয়তো আর বেশি দূরে নেই যেদিন ছেলেমেয়ে বাইক নিয়ে উড়ে যাবে পরীক্ষা দিতে।
হোভার বাইক তৈরি করা হচ্ছে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে। এটি তৈরি করছে মালোই এরনোটিস নামের একটি ব্রিটিশ স্টার্টআপ কোম্পানি।
বর্তমানে বাইকটির ডেমো ভার্সন মানে কোন চালক ব্যতীত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন বাইকটিকে কোনোভাবে ৯০০০ ফিট পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছানোর।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তাঁরা চালক বহন করতে পারবে এমন একটি মডেল নিয়ে কাজ করছেন। যেটি ইচ্ছা করলে চালক নিজেই কিংবা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালনা করা যাবে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এই বাইকটি ঘণ্টায় প্রায় ১১৫ মাইল বেগে এক যায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবে। ডেভেলপার টিমের সদস্যরা চেষ্টা করছেন কিভাবে এটি খুব সহজে ব্যবহার তথা ওড়ানো যায়।
হোভার বাইকের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
● ইঞ্জিন- ৪ স্টোক, সেন্ট্রাল ব্যাল্যান্স ইঞ্জিন।
● ইঞ্জিন সিসি- ১১৭০
● আরপিএম- ৭৫০০
● এয়ার কুলেদ ইঞ্জিন।
● ইনজেকশন- ইলেক্ট্রিক।
● ফুয়েল সিস্টেম- রেগুলার।
● ওজন- ১০৫ কেজি।
● সর্বোচ্চ ২০৭ কেজি বহন করে উড়তে সক্ষম (১০৫+)।
● আসন সংখ্যা- ১ জন শুধু চালক।
উদ্যোক্তা টিমের প্রধান চেয়ারস মালোই বলেন, ‘আমি জখন প্রথম হেলিকাপ্টার ওড়ানোর লাইসেন্স পাই তখন থেকেই আমার মাথায় এই চিন্তাটি ঘুরপাক খেতে থাকে, কিভাবে এই হেলিকাপ্টারের তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা যায়। এর পরেই আমি শুরু করি হোভার বাইক নিয়ে কাজ করা।’
বর্তমানে উদ্যোক্তারা হোভার বাইককে একটি হেলিকাপ্টারের থেকে বেশি নিরাপদ বলে মনে করছেন। কারণ এটির ডিজাইন এবং সাধারণ ব্যবহার। ইচ্ছা করলে যে কেউ এটি চালাতে পারবে।
আশা করা হচ্ছে আগামীতে হোভার বাইক পুরোপুরিভাবে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বাইকটি তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন ছিল যেটি তাঁরা একটি ফান্ডরাইজিং এর মাধ্যমে ব্যবস্থা করেছে। আর অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এখন পর্যন্ত তাঁরা প্রায় ৭৭,০০০ ডলার একত্রে করতে পেরেছে।
এই বাইকটির প্রতি দিন দিন মানুষের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছে বাইকটি কাছ থেকে একটু দেখার জন্য। চেয়ারস মালোই টিম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে এই প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখবেই।
বিবার্তা/জিয়া