গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সাথে অন্যান্য আরও ভিটামিন যা ত্বকের সৌন্দর্য, ক্যান্সার নিরাময় এবং দ্রুত বয়স্কের ছাপ থেকে আপনাকে বাঁচাবে। এই অসাধারণ সবজি থেকে কিভাবে অধিক উপকারিতা পাওয়া সম্ভব জেনে নিন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি
গাজর বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হয় যা যকৃতে ভিটামিন এ হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন এ চোখের রেটিনায় একটি রক্তবর্ণ রঞ্জক হিসেবে কাজ করে যা রাতে চোখে দেখতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন বার্ধক্যজনিত ছানির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে। যারা বিটা-ক্যারোটিন বেশি খেয়ে থাকে তাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি অন্যদের চেয়ে ভালো হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গেছে গাজর ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং মলাশয় কান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গবেষকরা অ্যান্টিক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে ফেলকেরিনল এবং ফেলকেরিয়ানডল কে আবিষ্কৃত করেছেন। ফেলকেরিনল একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক যা গাজর দ্বারা উৎপাদিত হয় যা ছত্রাক রোগ থেকে শিকরকে রক্ষা করে। গাজর এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি সাধারণ সূত্র। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব ইঁদুর গাজর খায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।
বার্ধক্যের গতি কমানো
উচ্চ পর্যায়ের বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে কোষের ক্ষতি রক্ষার্থে যা নিয়মিত শারীরিক বিপাকের মাধ্যমে ঘটে। এটা শরীরের কোষগুলোকে বার্ধক্য হওয়া থেকে সাহায্য করে।
ইনফেকশন প্রতিরোধ
হারবাল চিকিৎসকদের কাছে গাজর ইনফেকশন রোধের ওষুধ হিসেবে পরিচিত। কেটে যাওয়া জায়গায় গাজর সিদ্ধ অথবা ভর্তা করে লাগালে তা ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
স্বাস্থ্যসম্মত ত্বক
ভিটামিন “এ” এবং অ্যান্টিঅক্সিডেনট সমূহ সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন “এ” এর অভাবে ত্বকের শুষ্কতা, চুলের আদ্রতা ও নখের সমস্যা এ জাতীয় সমস্যাগুলো দেখা দেয়। ভিটামিন এ অকালে চামড়া কুঁচকানো, ব্রণ, শুষ্ক ত্বক এবং অমসৃণতা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। গাঁজর এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত ত্বক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ হৃদরোগের নিম্ন ঝুকির ক্ষেত্রে ক্যারটিনয়েড অনেক উপকারি। গাজরে শুধু বিটা ক্যারোটিনই না, আলফা ক্যারোটিন ও লুটেইন থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
বিবার্তা/পাভেল