একদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশুর হাট ইতিমধ্যে জমজমাট। কোরবানির সময় ক্রেতারা সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান পশু কিনতে চান। তবে, দেখতে মোটাতাজা হলেই সে পশু সুস্থ হবে এমনটা নাও হতে পারে। ঈদের বাজারে ভালো দাম পেতে তিন সপ্তাহ থেকে দুই মাসের মধ্যে গরুকে মোটা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন অনেক ব্যবসায়ী। এসব গরু অনেক সময় হাট থেকে কিনে বাড়ি নিতে নিতেই মারা যায়। তাই কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রে তার সু্স্থতা নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ।
	 
	কোরবানির পশু কিনতে জরুরি সতর্কতা:
	১. বাহ্যিকভাবে দেখতে সুস্থ-সবল, নিরোগ পশু কিনুন। রোগবালাই আছে কি-না দেখে নিন। সেই সঙ্গে চামড়ার ক্ষত আছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন।
	
	২. পশুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। অসুস্থ গরু খাবার খেতে চায় না।
	
	৩. গরুর কুঁজ মোটা টানটান হলে গরু সুস্থ হয়।   
	
	৪. কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার সময় পশু বিষয়ে অভিজ্ঞ এমন কাউকে সঙ্গে নিতে পারলে ভালো। তিনি পশু চিনে কিনতে পারেন।
	
	৫. হাট থেকে পশু বাড়িতে আনার জন্য একজন শক্ত-সামর্থ্য লোক সঙ্গে নিন। যিনি পশু বাড়িতে আনতে সাহায্য করতে পারবেন।
	
	৬. হাটে যাওয়ার সময় টাকা সাবধানে রাখবেন।
	
	৭. পশু কিনতে যাওয়ার সময় ভালো পোশাক না পরাই উত্তম। তাতে দাগ বা ময়লা লাগার আশঙ্কা থাকে।
	
	৮. হাতে সময় নিয়ে পশুর হাটে যাওয়া উচিত। এতে ধীরে-সুস্থে দেখেশুনে পশু কিনতে পারবেন।
	
	৯. হাসিলের হাত থেকে রেহাই পেতে হাটের বাইরে থেকে পশু কিনবেন না। এতে লাভবান হওয়ার চেয়ে চোরাই পশু কেনার আশঙ্কা থাকে।
	
	১০. হাটের হাসিল ঠিকমতো পরিশোধ করুন।
	 
	১১. গাভী বা বকনা বাছুর না কেনাই ভালো।
	
	১২. পশু কিনেই হাট থেকে পশুর খড় কিনে ফেলুন।
	
	১৩. হাট থেকে পশু আনার সময় পাটের দড়ি দিয়ে পশুকে ভালোভাবে বেঁধে আনুন।
	
	১৪. কোরবানির আগেই কসাই ঠিক করে রাখুন।
	
	১৫. মাংস কেটে রাখার জন্য পরিষ্কার চাটাই সংগ্রহে রাখুন।
	 
	কোরবানির হাটে পশু কিনতে গেলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় যদিও, সেখানে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মনে রাখা ভালো এখানে চাঁদাবাজদের আনাগোনা আছে। তাই একা কোরবানির হাটে না যাওয়াই শ্রেয়।
	
	বিবার্তা/জিয়া