হবিগঞ্জে বাহুবলে আলোচিত চার শিশুহত্যা মামলাটি শিশুআদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্ধারিত তারিখে মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি শিশুআদালতে স্থানান্তর করেন হবিগঞ্জে জেলা ও দায়রা আতাব উল্লাহ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নারী ও শিশুআদালতের পিপি আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন মামলাটি শিশু যেহেতু হত্যাকাণ্ডের, তাই মামলাটি শিশুআদালতে পাঠানো যুক্তিযুক্ত।
শুনানিকালে কারাগারে আটক আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, আরজু মিয়া ও সাহেদ আলী ওরফে সায়েদকে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়া (১০)।
১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন জাকারিয়া শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া। ১৬ ফেব্রুয়ারি থানায় অপহরণ মামলা করেন নিহত মনির মিয়ার বাবা আব্দাল মিয়া। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ইসাবিল নামক স্থান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগলের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ওই চার শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার পান ডিবি পুলিশের তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকতাদির হোসেন। তিনি ৪৮ দিন তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় পঞ্চায়েত সর্দার আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ আলী ওরফে সায়েদ, অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়াকে। তাদের মাঝে এখনও পর্যন্ত পলাতক রয়েছে উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।
বিবার্তা/ফয়সল/জিয়া