প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হাতে পেল সেই স্কুলছাত্র

প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হাতে পেল সেই স্কুলছাত্র
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৬:৪৯:৩০
প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হাতে পেল সেই স্কুলছাত্র
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+
পায়রা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো চিঠির জবাব হাতে পেয়েছে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাস।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শীর্ষেন্দুর কাছে একটি চিঠি পাঠান। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক এ কে এম শামীমুল হক সিদ্দিকী শীর্ষেন্দুর হাতে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো চিঠি তুলে দেন। শীর্ষেন্দুর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া গ্রামে।
 
প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন- ‘স্নেহের শীর্ষেন্দু, আমার স্নেহাশীষ নিও। তোমার চিঠি পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তুমি শুধু এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক নও বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার অগ্রজ সৈনিক।
 
আমি জানি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীটি অত্যন্ত খোরস্রোতা। নিজের পিতা-মাতাসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই নদীকেন্দ্রিক তোমার নিরাপত্তা সচেতনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি বুঝতে পারি তোমার বীর মুক্তিযোদ্ধা দাদুর প্রভাব রয়েছে তোমার ওপর। মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি।
 
তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। আমার দোয়া নিও। তোমার বাবা-মাসহ মুরুব্বিদের সালাম ও ছোটদের দোয়া দিও। অনেক অনেক আদর নিও। শেখ হাসিনা।’
প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হাতে পেল সেই স্কুলছাত্র
শীর্ষেন্দুর মা শিলা রানী বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৩ আগস্ট আমি ও ছেলে শীর্ষেন্দু পায়রা নদী ও বিষখালী নদী পার হই। ওই অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা লিখে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘১৩ আগস্ট পায়রা নদী পার হওয়ার সময় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। আমার ছেলে শীর্ষেন্দু খুব ভয় পেয়েছিল। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও ঢেউ ছিল। ১৫ আগস্ট রাতে আমার ছেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখে।’
 
চিঠিতে শীর্ষেন্দু উল্লেখ করে- ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। আমাদের মির্জাগঞ্জ নদী পার হয়ে যেতে হয়… ঐ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ… কখনো নৌকা ডুবে যায়, কখনো কখনো ট্রলার ডুবে যায়। এ সব দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন..’
 
চিঠিতে সে আরো লেখে, ‘আমি বাবা-মাকে হারাতে চাই না, কারণ তাদের খুব ভালোবাসে। তাই আমাদের জন্য মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ তৈরির ব্যবস্থা করুন।’
 
শীর্ষেন্দুর বাবা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস পটুয়াখালীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার মা শীলা রাণী সন্নামত সমবায় অধিদপ্তরের জেলা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর।
 
বিবার্তা/আমিন/রয়েল
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com