দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে চোরাচালান ও অপরাধীদের প্রতিরোধে মঙ্গলবার থেকে যৌথ অনুশীলন ‘হিলি এক্সপ্রেস’ শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। দুইদিন ব্যাপী এই যৌথ অনুশীলনের মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন।
দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা, বন্ধুত্বতা, ও সৌহার্দ বাড়াতে জয়পুরহাট- ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন এই যৌথ অনুশীলনের আয়োজন করে।
জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল নয়টায় যৌথ অনুশীলনে অংশ নিতে আসা ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি জর্জ মানজুরালের নেতৃত্বে বিএসএফ প্রতিনিধি দলটি হিলি চেকপোস্টে আসেন।
এ সময় বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাকির হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা বিএসএফের দলটিকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর চেকপোস্ট গেটে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে যৌথ অনুশীলন ‘হিলি এক্সপ্রেস’ এর কার্যক্রম তুলে ধরেন দুই বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এতে ছিলেন, বিজিবির রংপুর রিজিয়নের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল জুলফিকার এবং বিএসএফের ১৯৯ ব্যাটালিয়নের টুআইসি আলকেশ সিনহাসহ উভয় বাহিনীর স্টাফ অফিসাররা।
মোস্তাফিজুর আরও জানান, সকাল সোয়া ১০টায় চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি, আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক যৌথভাবে তল্লাশি চালায় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে হিলি সিপি ক্যাম্পের অতিথিশালায় বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তারা এক সাক্ষাতে মিলিত হন। বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি রেলস্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে এক পতাকা বৈঠকেও মিলিত হন বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তারা।
এর আগে সীমান্ত পিলারও চেকিং করে যৌথ অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীরা। দুপুর ২টায় যৌথ অনুশীলনের প্রথমদিনের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
এদিকে বিজিরি এক প্রেসরিলিজে জানানো হয়, কাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুনরায় যৌথ অনুশীলন শুরু করবে বিজিবি ও বিএসএফ। এর অংশ হিসেবে হিলি রেলস্টেশনে ট্রেন ও যাত্রীদের তল্লাশি, সীমান্তের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলিতে চোরাচালান বন্ধসহ বিভিন্ন ধরনের এই অনুশীলন ছাড়াও ছায়া অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিবার্তা/শাহী/জেমি/জিয়া