অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প

অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৬, ১৯:০২:৪৫
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+
একই সাথে তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ম্যাগাজিনের বিনোদন স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র সাংবাদিক যিনি স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে কাজ করছেন। এটা সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটা রেকর্ডই বটে। কেননা একই সাথে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে স্টাফ হতে পারে না কেউ। এই কারণে তার অনেকগুলো ছদ্মনাম রয়েছে। তিনি সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন। একজন ফ্যাশনেবল সাংবাদিক হিসেবেও মিডিয়াতে তিনি সমাদৃত।
 
পারিবারিকভাবে অভি মঈনুদ্দীনের বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেকে সেনাবাহিনীতে দেয়ার। কিন্তু শৈশব থেকেই রঙিন দুনিয়ার প্রতি অভির ছিল দুর্নিবার আকর্ষণ।ফলে বাবার ইচ্ছে পূরণ করা হলো না আর। তিনি হয়ে গেলেন বিনোদন সাংবাদিক। সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন সম্প্রতি মুখোমুখি হন বিবার্তার। জানালেন  নিজের বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প। জানালেন কীভাবে তিনি গ্রামের সাধারণ একটি ছেলে থেকে অভি মঈনুদ্দীন হয়েছেন। সেই গল্প জানাচ্ছেন বিবার্তা২৪ডটনেটের নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজ।
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
অভি মঈনুদ্দীন। সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে তার জন্ম। মধ্যনগর খুব প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে স্বাধীনতার অনেক অনেক বছর পর বিদ্যুৎ গেছে। অভির বাবা আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও মা আলহাজ্ব রুশেদা পারভীন। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তিন ভাই, দুই বোন। বড় ভাই হুমায়ূন কবির জাপানে এবং দুই বোন কবিতা ও মোনা লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা। ছোট ভাই মোহসীন আহমেদ কাওছার এই সময়ের একজন আলোচিত মডেল ফটোগ্রাফার। 
 
মধ্যনগর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক পড়াশুনা শেষ করেন অভি। এরপর মধ্যনগর বি পি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময়ই তিনি  সিলেট ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। এসএসসিতে স্টার মার্ক নিয়ে উত্তীর্ণ হন। মাত্র দশ মার্কের জন্য তিনি বোর্ডে স্ট্যান্ড করতে পারেননি। তবে এইচএসসিতে তিনি মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৮তম স্থান লাভ করেন। ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনাকালীন তিনি ওস্তাদ রামকানাই দাশের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন। এভাবেই তিনি নিজেকে সঙ্গীতে গড়ে তোলেন। অভিকে কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা কেউ কিশোর কুমার, আবার কেউ অ্যান্ড্রু কিশোর নামে অভিহিত করতেন। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই মূলত ক্যাডেট কলেজের সবাই জানতে পারেন যে অভি ভালো গান গাইতে পারেন। তেমনি পরবর্তীকালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষে এসে নিজের গায়কী প্রতিভা উন্মোচন করেন অভি। তবে পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতাকে বেছে নেয়ার কারণে গানে আর মনোযোগ দিতে পারেননি তিনি।  সাংবাদিকতা বিভাগ থেকেই তিনি অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। 
 
মধ্যনগরে ‘বিসমিল্লাহ স্টোর’ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছিলো। এছাড়া তার দাদীর খাবার হোটেলের ব্যবসা ছিলো। সেই হোটেলে বেশকিছু দিন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিলেন অভি ছোট বেলাতেই। অভির দাদী রূপাজান বিবি কিংবা দাদা ছগীর আলী কেউই আজ বেঁচে নেই। 
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
ছোট বেলার মজার স্মৃতিচারণ করে অভি বলেন, কোরআনে হাফেজ হওয়ার আশায় প্রাইমারিতে পড়াশুনার সময়  বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সিলেটে মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চেয়েছিলাম।  সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে ফুপাতো বোনের বাড়িতে একমাস পালিয়ে ছিলাম। সেই সময় ফোনের চলন ছিলো না, তাই তাকে খুঁজে পেতে পরিবারকে বেগ পোহাতে হয়েছিলো। সেখান থেকেই  খুঁজে এনে আমাকে টাঙ্গাইল পাঠানো হয়। 
 
ছোটবেলায় কী হবার স্বপ্ন দেখতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অভি মঈনুদ্দীন বলেন, একদম ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল মিউজিক, ড্রামা, সিনেমার সাথে সম্পৃক্ত কোনো কাজে নিজেকে জড়ানো। 
 
এই দুনিয়ার প্রতি এতোটাই টান ছিল যে ছোট বেলায় বাবার কড়া শাসনকেও এড়িয়ে যেতেন তিনি। নানার বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পালিয়ে গিয়ে সিনেমা দেখতেন।  অভি বলেন,‘ আমি ধানের গোলা থেকে ধান চুরি করে বিক্রি করে সিনেমা দেখতে যেতাম। সারাদিনে তিনটা শো দেখতাম। আমার নানার বাড়িতে তিনটা সিনেমা হল ছিল - দিলশাদ, মিতালি ও রাজমহল। একটি সিনেমা হলও এখন আর নেই। মনে পড়ে আমার জীবনের দেখা প্রথম সিনেমা ছিল নায়ক মান্না অভিনীত প্রথম সিনেমা ও আজাহারুল ইসলাম পরিচালিত ‘তওবা’। এতে রাজ্জাক ও ববিতা অভিনয় করেছিলেন। আমার বড় ভাই হুমায়ূন কবিরের সাথে সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলাম। এরপর যতবারই সিনেমা দেখতে গিয়েছি পালিয়ে গিয়েছিলাম। সিনেমা দেখার কারণেই রঙ্গিন এই দুনিয়া সম্পর্কে আগ্রহ জন্মেছিলো আমার। তাই হয়তো আজ আমি এই জগতের একজন বাসিন্দা। কোনো দুঃখ নেই আমার, কোনো কষ্ট নেই। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, হয়তো আরো ভালো কিছু হতে পারতাম। আবার মাঝে মাঝে মনে হয়, বেশ ভালো আছি। ভালো আছি, এমনটাই ক’জন বলতে পারেন। আমি তো বলতে পারছি। শুকরিয়া।’
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
ছোটবেলায় সিনেমার দেখার জন্য নানা ধরনের পাগলামী করতেন অভি। একবার সিনেমা দেখার জন্য তিনি ঈদের জামা বিক্রি করে  ফেলেন। সেদিন মোহনগঞ্জের বর্তমানে বসুন্ধরা মার্কেটের পাশেই খালি গায়ে সারারাত পার করেছিলেন। পরদিন সকালে বাড়ি ফিরে যান। সিনেমা দেখার এতোটাই নেশা ছিল যে টাকা হারানোর ভয়ে সিনেমা হলের ইট খুলে টাকা লুকিয়ে রাখতেন, যেন পরের শো দেখতে পারেন। 
 
সাংবাদিকতার জীবনের মাঝখানে অভি রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করেন প্রায় চার বছর। কিন্তু এ সময় তিনি বুঝতে পারেন এই জায়গাটা আসলে তার নয়। অভি বলেন,‘ চেয়ার -টেবিলে বসে থেকে কখনো সাংবাদিকতা হয় না, মাঠে নামতে হয়। মাঠে নামলে মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। আর মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি না হলে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসে না। যত বেশি মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে তত বেশি নিউজ সোর্স তৈরি হবে। ’
 
অভি বলেন, একজন সাংবাদিকের অধ্যবসায়, সংবাদ সংগ্রহের প্রবল ইচ্ছে আর কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা যদি না থাকে তাহলে  সাংবাদিকতা জীবনে সাফল্য আসে না। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের নেশা ও পেশা যখন এক হয়ে যায় তখন মানুষের জীবনে সাফল্য আসে। সাংস্কৃতিক জগতে এখন আমি যে অবস্থানে এসেছি তা নিজেও কখনো কল্পনা করতে পারিনি। এ পর্যন্ত যে আসতে পারবো তা কখনো চিন্তাই করিনি আমি। 
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
দৈনিক আজকের কাগজ দিয়ে ২০০০ সালে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু অভির। তিনি বলেন, ‘আমার সাংবাদিকতার জীবনে গুরু হলেন বর্তমানে আমাদের সময়ে কর্মরত আলী ইমাম সুমন। তিনি একজন আদর্শ সাংবাদিক। সাংবাদিক হিসেবে মানুষের ব্যবহার এতো ভাল হতে পারে জীবনে প্রথম দেখেছি। লেখা কেটেছেটে নয়, যে সাংবাদিক প্রতিবেদনটা লিখেছেন তাকে বলে লেখার বিষয় বুঝিয়ে দিয়ে মান উন্নয়ন করতেন তিনি। তিনি সব সময় বলতেন, তোমার লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে। আরো একটু ভালো করতে আমি আরো কয়েকটা শব্দ যোগ করবো। তাহলে আরো ভালো হবে। ঠিক এমনটাই করতে কবির হুমায়ুন ভাইও। খুব মিস করি তাঁদের। মিস করি আফরাদ আহমেদ রনি, খন্দকার সোহেল, শামসুন্নাহার পান্না, ইশরাত জাহান উর্মি, ফটোগ্রাফার সোহেল, উত্তম কুমার এবং প্রয়াত সঞ্জীব দাকে। সঞ্জীব দার গান আমার খুব ভালো লাগতো। তিনি মারা যাবার কিছুদিন আগে তার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো আমার। 
 
গত ১১ মে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে কমিটমেন্ট কালচারাল একাডেমির যুগপূর্তিতে কমিটমেন্ট পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান বিচারপতি তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে অভি মঈনুদ্দীন এবছরের শ্রেষ্ঠ বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে ‘গোল্ড মেডেল’ গ্রহণ করেন। এরপরে গত ৩১ মে রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠান ‘আনন্দ বিনোদন স্টার অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কাছ থেকে ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি বাবিসাস অ্যাওয়ার্ড, এজেএফবি অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। 
 
অভি তারকা কাগজের নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক করোতোয়ার সিনিয়র রিপোর্টার, বিনোদন বিচিত্রার চীফ রিপোর্টার, বিবার্তা২৪ ডটনেটের বিনোদন  প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ইত্তেফাক ও যুগান্তরের সাপ্তাহিক আনন্দ পাতার নিয়মিত লেখক। এই কারণে তার অনেকগুলো ছদ্মনাম রয়েছে। 
 
অভির আজকের অবস্থানে আসার পেছনে যে মানুষটির ভূমিকা না বললেই নয় তিনি হলেন তার চাচা আব্দুল হক নগরী। টানা বিশ বছরেরও বেশি সময় তিনি জাপানে ছিলেন। সেখানে থাকাকালীন তিনি অভির আগামীদিন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ২০১০ সালের ২৪ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আব্দুল জলিলের মেয়ে সাবিহা সুলতানা জেমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই মেয়ে মাদিহা মাহনূর ও মার্সিহা মাহরুজ। সাবিহা সুলতানা জেমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী। 
 
প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যেই দেশের সকল দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন সংবাদের প্রধান এবং বিনোদনের খবরাখবর পড়া হয়ে যায় অভির। প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিল্পীর ছবি তোলা , সাক্ষাৎকার নিয়েও থাকেন তিনি। তার সঙ্গে ফটোগ্রাফার হিসেবে বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন দীপু খান, আরিফ আহমেদ, মোহসীন আহমেদ কাওছার, আসলাম হাবিব, গোলাম সাব্বির, রোথী মোস্তফা, আলিফ হোসেন রিফাত, চিন্ময় দাস। 
অভি মঈনুদ্দীনের উঠে আসার গল্প
অভির আরেকটি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যতো সিনিয়র কিংবা জুনিয়র শিল্পী আছেন প্রত্যেকের সঙ্গেই একজন সাংবাদিক হিসেবে তার সর্ম্পকটা এতোই ভালো যে সবাই তাকে তার পরিবারের একজন হিসেবেই বিবেচনা করেন। অভি বলেন,‘ আমিও মানুষ। ভুল-ত্রুটি আমারও থাকতে পারে। একজন মানুষের সবাইকে ম্যানেজ করে চলা সম্ভবও নয়। তাই হয়তো অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পরও সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তবে আমি বিশ্বাস করি, যারা সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেবল নিজের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখেন তারা আসলে প্রকৃত মানুষ নন। সম্পর্কের মাঝে স্বার্থ বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেলে তাতে ভাঙ্গন আসেই। আর এখন আমি এটা মন থেকে মেনে নিয়েই আগামীর পথে এগিয়ে চলি।’ 
 
অভি মঈনুদ্দীন আরো বলেন, ‌'মিডিয়াতে কাজ করতে এসে অনেকের সহযােগিতা পেয়েছি। তবে যে দু'জন মানুষের কথা না বললেই নয় তারা হলেন ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ ভাই এবং আশীষ সেনগুপ্ত দাদা। তারা আমাকে নানানভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
 
অভি  বলেন,‘আমি আমার আজকের অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে প্রতি মুহূর্তে শুকরিয়া আদায় করি যে তিনি আমাকে ও আমার পরিবারকে ভালো রেখেছেন। আমার বাবা-মায়ের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন সবসময়। ’ 
 
বিবার্তা/উজ্জ্বল/মৌসুমী
 
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com