বেঁচে থাকার প্রস্তাবনাসমূহ

বেঁচে থাকার প্রস্তাবনাসমূহ
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০১৬, ০৮:৫২:৪৯
বেঁচে থাকার প্রস্তাবনাসমূহ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
কাউকে এককভাবে দোষারোপ না করে আসুন সতর্ক হই যাতে এমন কিছু না ঘটে। বর্তমান প্রজন্মটা অনেক বেশি প্রযুক্তিতে অগ্রসর। আমরা তাদের হাতে আধুনিক সব ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছি কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কিংবা ফলোআপের জন্য অ্যাকটিভ মনিটরিং সিস্টেম রাখছি না। আজেবাজে যুক্তি তর্ক করছি। 
 
ব্যাপারটা বির্তক প্রতিযোগিতার মতো হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেন তর্কে জিতে গেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ওরা ধর্ম জানে কি জানে না কিংবা তাদের এ হত্যাযজ্ঞ ইসলাম সমর্থন করে কি করে না সেটা প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমি সে তর্কে যাব না কিন্তু আপনারা আশ্চর্য হবেন আইএস প্রধানের ধর্মীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা জেনে! 
 
ঠিক তেমনি ধর্মীয় উগ্রবাদী দলসমূহের নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আমার আপনার চেয়ে বেশি বৈকি কম নয়! কিন্তু আজ আমার উদ্দেশ্য তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনাদের জানানো নয়। আমার কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে যা হয়ত আমাদের এ ধরনের সংকট হতে রক্ষা করবে আপনার/আমার পরিবারকে। আর শুরুটা যদি পরিবার থেকে না হয় দেশ কি করে বাচাঁবো?
 
১. সন্তান ও পরিবারকে মানবিক মূল্যবোধ শেখান যাতে সে মানুষকে সম্মান করতে শিখে। শ্রদ্ধা আর স্নেহটুকু যদি সে না শিখে পরিবার হতে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে যত ভালো ফলাফল করুক না কেন তার বিবেক কখনো মানবিক বোধ জাগ্রত হবে না।
 
২. ডোরেমন প্রজন্ম তৈরি না করে তাকে চিনিয়ে দিন নিজের কৃষ্টি আর সংস্কৃতি তাহলে মানবিক বোধ জাগ্রত হবে। সে বুঝতে শিখবে আমার সংস্কৃতি বা কৃষ্টি তা এ নৃশংসতা দাবি করে না।
 
৩. আপনার সন্তানের পরিবর্তনগুলো যেন আপনার চোখ এড়িয়ে না যায়। হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে যাওয়া কিংবা চঞ্চল হয়ে যাওয়া যেন আপনার অজান্তে না হয়। মনে রাখবেন সে যা-ই করুক না কেন আপনি কিন্তু দায় এড়াতে পারবেন না। সে অন্য কারো কাছে যে পরিচয়ে পরিচিত হোক কেন সে কিন্তু আপনার সন্তান।
 
৪. পাড়ামহল্লায় নতুন কারো প্রবেশ খেয়াল রাখুন ও পর্যবেক্ষণে রাখুন। আপনার সন্তানের সাথে তার মেলামেশা যেন আপনার কাছে জ্ঞাত হয়।
 
৫. আপনার সন্তানের ব্যতিক্রম কিছু যেন আপনার কখনো চোখ এড়িয়ে না যায়। বাইরে থাকার কথা বা কোথাও যাবার কথা বললে খোজ নিন কোথায় কার সাথে ছিল। উধাও হয়ে গেলে থানায় জানান।
 
৬. আইন রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, আপনাদের অপরাধ প্রমাণ করতে যুগ যুগ সময় লেগে যায়। তাই প্রয়োজনে সন্দেহকারীদের ছবি প্রকাশ করুন। অন্তত সাধারণ জনগণ সতর্ক হতে পারবে, জানতে পারবে। অপরাধ ঘটার পরে ছবি বা পরিচয়ে কোন কাজে আসে না। হয়ত ওরা যে এমন ভয়ঙ্কর অপরাধী তাদের পরিবারও জানে না। তাই জানিয়ে দিন অপরাধী কিংবা দুস্কৃতকারীর পরিচয়।
 
জানি এভাবে লিখলে অনেক কিছুই লেখা যায়। আপনারাও লিখছেন কিন্তু শুধু বলব এর কতটুকু আপনি বিশ্বাস করেন। মনে রাখবেন এ দেশ আমার, আপনার, সবার। আমরা নিজেরা সচেতন না হলে কেউ রক্ষা করতে পারবে না আমাদের, আমাদের পরিবারকে..।
 
তাপস বড়ুযার ব্লগ থেকে
 
বিবার্তা/জিয়া
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com