বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যদি চাইতেন, ধানমন্ডিতে শুধু একটি বাড়ি নয়, বনানী-গুলশানেও থাকতো একাধিক বাড়ি। টুঙ্গিপাড়ায় একটি একতলা ইটের বাড়ি নয়, থাকতো পাঁচতলা প্রাসাদ। মোনায়েম খাঁকে সরিয়ে বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন হয়তো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তিনি হতে পারতেন একজন সামরিক প্রেসিডেন্টের অধীনে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। অর্থ চাইলে তাকে ছয় দফার বিনিময়ে ব্লাংক চেক দিতে রাজি ছিলেন জেনারেল আইয়ুব খান। ব্যবসায়ী হতে চাইলে ইউসুফ হারুন আর হাত বাড়িয়েই ছিলেন।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু এর কিছুই হননি। হলেন রাজদ্রোহী, রাজনৈতিক বন্দী, ষড়যন্ত্র মামলার নায়ক, ফাঁসিকাষ্ঠের আসামী। জেলেই কাটালেন বছরের পর বছর। বেগম মুজিব যদি বঙ্গবন্ধুর মতো লোভহীন দেশপ্রেমিক না হয়ে চাইতেন গাড়ি-বাড়ি, অর্থ-সম্পদ, ছেলে-মেয়ের নিশ্চিত আয়েশী ভবিষ্যত তাহলে বঙ্গবন্ধু হয়তো সংগ্রামের রাজনীতি ছেড়ে আপসের রাজনীতিতে আশ্রয় নিয়ে আজকালকার মতো ধনী, মডারেট ব্যবসায়ী রাজনৈতিক নেতা বনে যেতেন।
আর যদি তা-ই হতো, সেদিনের মুজিব ভাই কি বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে পারতেন ? আমরা কি স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম? আর বাবা-মায়ের মতো আদর্শের সৈনিক না হয়ে যদি গতানুগতিক পথে যেতেন তাহলে একজন সাধারণ ছাত্রলীগের কর্মী থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী কি হতে পারতেন তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ?
জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা হে বঙ্গমাতা।
আপনার ত্যাগ হোক আমাদের প্রেরণার উৎস।
মোহাম্মদ সালেহীন রেজার ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন