বিএনপিতে ‘অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র’ নেই দাবি করে গণতন্ত্র ফেরাতে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই যেকোনো মুহূর্তে ‘দলীয় বিপ্লব’ ঘটাতে চান বিএনপি পুনর্গঠনের মুখপাত্র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম।
তিনি বলেছেন, শুধু বর্তমান নয়, সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিগত ২০ বছরের কাউন্সিলরদের (সভাপতি, সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক) প্রত্যক্ষ ভোটে দলের আগামী দিনের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন। আর নির্বাচন কমিশনকে সঙ্গী করেই বিএনপির কাউন্সিল করা হবে। সেখানে কামরুল হাসান নাসিম আসতে হবে, এমন কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই। আসলে বিএনপি ভাঙ্গা নয়, গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সুতরাং এখানে ‘মাইনাস ফর্মুলা’ বলে কোনো কিছু নেই।
রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস’র কার্যালয়ে সম্প্রতি বিবার্তা২৪.নেট এর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার রাজকুমার নন্দীকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন কামরুল হাসান নাসিম।
বিবার্তা২৪.নেট : আপনি বিএনপিতে দলীয় বিপ্লবের কথা বলছেন। দলীয় বিপ্লব দরকার কেন?
কামরুল হাসান নাসিম : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজনীতি করতে হবে। কিন্তু বিএনপি সেই অবস্থানে নেই, দলের চেয়ে এখন ব্যক্তি বড় হয়ে গেছে। অন্যদিকে, শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর নেতা-কর্মীরা আস্থা রাখলেও তারা সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। সেজন্য শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর নেতা-কর্মীদের এখন আর কোনো আস্থা নেই। চেয়ারপারসন আজকে একটা কথা বললে দলের নেতা-কর্মীরা সেভাবে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এই যে হারিয়ে যাওয়া, এই যে ইমেজ সঙ্কট-এটার পেছনে কারণ আছে। উনার (খালেদা জিয়া) কথার মধ্যে এখন জনস্বার্থ সংরক্ষণের কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ আর ‘নির্বাচন’- এই কয়েকটি ‘কথিত’ শব্দ ছাড়া গত তিন বছরে তিনি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো কথা বলেননি। এর মানে, উনি‘শুধুমাত্র’ ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছেন। তবে সেটা হলেও কাজের কাজ হতো, যদি বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে উনার কোনো পরিকল্পনা থাকতো। কিন্তু সেটা তো নেই। এর অর্থ, বিএনপি তার আদর্শ থেকে সরে গেছে অর্থাৎ বিএনপির অসুখ হয়েছে। এ অসুখ সারাতে দলীয় বিপ্লব দরকার।
দল পুনর্গঠনে আমি ডাক্তার হিসেবে উপস্থিত হয়েছি। অসুখ সারাতে হোমিওপ্যাথি দিয়েছি। পরবর্তীতে বলেছিলাম, ঈদুল আযহার পর এ্যালোপ্যাথি দিব। শুধু এ্যালোপ্যাথি কেন, প্রয়োজনে সাপোজিটরি, ইনজেকশন এমনকি ওটি-তেও নিয়ে যেতে হতে পারে। কিন্তু কাজটা করতে হবে এবং সেটা এই বছরের মধ্যেই করতে হবে। বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। সেই দলে যদি একজন মুদি দোকানদারও থাকে এবং দলের জন্য তার উচ্চমার্গের চিন্তা থাকে, তাহলে সে বিএনপির সঙ্কটকালীন মুখপাত্র হতে পারে। আর সেটার মধ্যে যদি দেশ, দল ও গোষ্ঠীগত উন্নয়নের কথা থাকে, তাহলে তার রাইটস (অধিকার) আছে সেটা উপস্থাপন করার। আমাদেরকে এই জায়গাটায় যেতে হবে।
আমরা কোনো ‘মাইনাস ফর্মুলা’য় বিশ্বাসী না। উনারা (খালেদা জিয়া, তারেক রহমান) থাকবেন। তবে সে সিদ্ধান্ত হতে হবে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। দেখা গেল, দলীয় বিপ্লবের দিন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আমি নিজ থেকেই একটি প্রস্তাব রাখলাম। উনি যেহেতু সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাই উনাকে দলের সবচেয়ে বড় পোস্ট অর্থাৎ প্রধান পরামর্শক করা হতে পারে। কিন্তু চেয়ারপারসন, সেক্রেটারি জেনারেল ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে হবে। ওই পদগুলোসহ শীর্ষ পদগুলোতে কাউন্সিলরদের ভোটে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হতে হবে, তাহলে আমার কোনো দ্বিমত থাকবে না। কেননা, আমি দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নেতৃত্ব চাই, সেখানে কামরুল হাসান নাসিম আসতে হবে-এমন কোনো কথা নেই। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানও আসতে পারেন। তবে তাদেরকে অবশ্যই কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।
বিবার্তা২৪.নেট : আপনি যে দলীয় বিপ্লবের কথা বলছেন, তার রূপরেখা কী হবে?
কামরুল হাসান নাসিম : দলীয় বিপ্লবের রূপরেখা বা অবয়ব সম্পর্কে এখুনি বলতে চাই না। তবে দলীয় বিপ্লবে ১৭টি কৌশল থাকবে। এর প্রত্যেকটিই হবে মানবতামুখী, যেখানে মানবতার জয় হবে। সরকার বা শাসক দলের সঙ্গে কথা বলে, তাদের সঙ্গে প্যাকেজ বানিয়ে, তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিএনপি পরিচালনা করার কোনো সুযোগ নেই। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে দল পরিচালনা করতে হবে। এখানে আসল-নকল বিএনপি বলে কোনকিছু নেই। বিএনপি একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া, সুতরাং দল ভাঙ্গার কোনো উদ্দেশ্য নেই। এখানে আমাদের মা খালেদা জিয়া থাকবেন, তারেক রহমান থাকবেন, ডা. জোবায়দা রহমান থাকতে চাইলে তিনিও থাকতে পারেন। তবে তাকে ‘দশ বছর’ রাজনীতি করে আসতে হবে, এসেই বড় চেয়ারে বসে গেলেন, সেটা আর হবে না।
বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে ফিরতে দলের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত একটি আল্টিমেটাম রেখেছিলাম। এই সময়ের মধ্যে না আসলে যেকোনো মুহূর্তে দলীয় বিপ্লব হবে। এই অবস্থানেই আমরা রয়েছি। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই আমরা দলীয় বিপ্লব করতে চাই। তবে উনি যদি দিনের পর দিন লন্ডনে অবস্থান করে সময় ক্ষেপন করেন, তাহলে তো আমরাও দিনের পর দিন বসে থাকতে পারি না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ দলীয় বিপ্লব সংগঠিত হবে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, সারা দেশের নেতা-কর্মিদের নিয়ে রাজপথেই দলীয় বিপ্লবের প্রতিফলন ঘটানো হবে। গণরায়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। শুধু বর্তমান কমিটি নয়, থানা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত গত ২০ বছরে যারা (সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক) বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে ছিলেন, তারা সবাই বিএনপির কাউন্সিলর। তাদের ভোটেই দলের চেয়ারপারসন, মহাসচিব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচত হবেন। কাউন্সিলদের সংখ্যা অনেক হওয়ায় কাউন্সিল একদিনে না করে একাধিক দিনব্যাপী হতে পারে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে সঙ্গী করে বিএনপির কাউন্সিল করা হবে।
বিএনপির দলীয় বিপ্লবে বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সবাই রয়েছেন। এতে বেগম জিয়াদের সাময়িক মন খারাপ হলেও এই উদ্যোগকে এক সময় তারাই হয়তো স্বাগত জানাবেন। তবে বিএনপির দলীয় বিপ্লবে ‘শীর্ষ নেতৃত্ব’ আপাতত থাকছে না। কিন্তু তিনমাস পরের কাউন্সিলে হয়তো তারাই আবার শীর্ষ নেতৃত্বে চলে আসবেন। তবে সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে হতে হবে।
বিবার্তা২৪.নেট : আপনি বিএনপিতে দলীয় বিপ্লবের কথা বলছেন। অথচ, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলীয় বিপ্লবের কথা বলে আপনি আসলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে চান? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
কামরুল হাসান নাসিম : আমি তো কম আলোচিত একজন ব্যক্তি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্যও না। কোনো বড় ধরনের পদসর্বস্ব মানুষও না। তাহলে আমাকে কেন প্রতিপক্ষ দলের বা আজকে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন, তারা আমার সঙ্গে বিশেষ রাজনৈতিক সমন্বয় বা তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে যাবে। আসলে এটি একটি আদর্শিক লড়াই। পদ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে-বড় কর্ম। তাছাড়া আমি হেভিওয়েট কোনো লোকও না। আমি মনে করি, আদর্শিক জায়গা থেকে দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এবং গণমানুষের স্বার্থ সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে, যেখান থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা একটি উচ্চ আয়ের রাষ্ট্র হব। এটা করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। আমার ডাকে বিএনপির সবাই সাড়া দেবে কিংবা আমি বিএনপিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে পারব- বিষয়টা এ রকম কিছু না। সুতরাং এখানে শাসক দলের পৃষ্ঠপোষকতার প্রশ্নই আসে না।
বিবার্তা২৪.নেট : খালেদা জিয়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান। বিএনপি বলছে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি সেখানে গেছেন। অন্যদিকে, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন, খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বিএনপির একজন নেতা বা কর্মী হিসেবে আপনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
কামরুল হাসান নাসিম : সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে একতরফাভাবে এ ধরনের মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে সমসাময়িক রাজনীতিতে উনি (খালেদা) তো দিকভ্রান্ত, এ কথাও সত্য।
বিবার্তা২৪.নেট : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। একইসঙ্গে একজন সেক্টর কমান্ডারও। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীর সঙ্গে একই জোটে থেকে বিএনপির পক্ষে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করা কতটুকু সম্ভব?
কামরুল হাসান নাসিম : ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ এখন ‘বাংলাদেশ জামায়াতেবাদী দল’ হয়ে পড়েছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেই কারণে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হিসেবেই আমরা বিএনপিকে সামনের দিনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এখানে কোনো আপোষ নেই। একাত্তর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি বিশ্বাস করি, বিএনপির নেতা-কর্মীরাও এটি ধারণ করেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অযাচিত সিদ্ধান্ত ও অনাভিভূত ভাবনা এ জন্য দায়ী। আমি মনে করি, শুরুর থেকে একটি ধর্মান্ধ দলের সঙ্গে জোটে একাট্টা থাকা বিএনপির জন্য কোনো প্রয়োজনই নেই। আমরা সেটা করতেও পারি না। অথচ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তা করেছেন। একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, একাত্তরে জামায়াতের যেসব নেতৃবৃন্দ মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আপোষ নেই।
বিবার্তা২৪.নেট : একাত্তর সালে আমাদের মহান স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল জামায়াতে ইসলামী। সেজন্য দলটি অনুতপ্ত বলেও তাদের আচরণে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকে কি-না।
কামরুল হাসান নাসিম : শিবিরের (বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির) ছেলেদের তো আর একাত্তরে জন্ম হয় নাই। তাহলে তাদের জন্য ম্যাসেজ কী? গভীরে গেলে দেখা যায়, বামপন্থী আর ডানপন্থী ছেলেদের লেখাপড়া আছে, কমিটমেন্ট আছে। তারা ডিসিপ্লিন ওয়েতে চলে, কিন্তু তারা (শিবির) মিসড গাইডেড। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, জামায়াতকে যদি ব্যান্ড করা হয়, তাহলে তারা কি আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সে যাবে? না, এটি শুভকর হবে না। তাই শিবির ভাইদের বলব, পুরোপুরি ধর্মভিত্তিক দল না হয়ে ইসলামী মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ধারণ করে তোমরা নিজেরাই আরেকটি রাজনৈতিক দল করে ফেলো। চল্লিশের নিচে যদি একটি দল হয়, তাহলে সেটি ‘ক্লাসড দল’ হবে এবং সেই দল বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতিতে থাকবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা যদি বিশ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামীকে রাখতে না চাই, সেক্ষেত্রে ওরা আমাদের সঙ্গে আসতে পারে।
বিবার্তা২৪.নেট : আপনার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘১৭’ সংখ্যাটি জড়িয়ে রয়েছে। আপনি বলেন, ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ড’র অপেক্ষা। সংবাদ সম্মেলন করেন, ১১টা ১৭ মিনিটে। এই ১৭’র রহস্য কী?
কামরুল হাসান নাসিম : ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ড যদি আপনি নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকতে পারেন, তাহলে সেটি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। সেটি তাহলে যেকোনো দুঃসাধ্যকে জয় করার মতো। তাছাড়া ‘১৭’ কে আমি ‘লাক’(ভাগ্য) হিসেবেও দেখি। অতীত ইতিহাসেও যদি যায় দেখা যাবে, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী ১২০২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৭ জন অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে বাংলার হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে মুসলিম শাসন কায়েম করেন এবং তা সাড়ে পাঁচশত বছর বলবৎ থাকে। ওই ঘটনায় আমি কিছুটা প্রভাবিত হই, সেখান থেকে আমি কিছুটা হলেও বিপ্লবী চেতনার অনুপ্রেরণা পায়। সে জন্য সব সময় ১৭-তেই থাকছি।
বিবার্তা২৪.নেট : বিবার্তাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কামরুল হাসান নাসিম : আপনাকে ও বিবার্তার পাঠকদেরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বিবার্তা//নন্দী//মহসিন.