দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী

দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:০১:৫২
দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী
মো. মহসিন হোসেন
প্রিন্ট অ-অ+
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। জাতীয় সংসদে পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তুখোড় বক্তা, মঠবাড়িয়ার মাটি ও মানুষের নেতা ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। জাতীয় সংসদ ভবনের উল্টোদিকে ন্যাম ফ্লাটে তার নিজ বাসায় রবিবার সন্ধ্যায় বিবার্তার বার্তা সম্পাদক মো. মহসিন হোসেনের সঙ্গে দেশের সামগ্রীক রাজনীতি ও তার নির্বাচনী এলাকা উপকূলীয় উপজেলা মঠবাড়িয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
 
বিবার্তা : আপনার দৃষ্টিতে বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনা কেমন হচ্ছে?
 
রুস্তুম আলী ফরাজী : আমিতো দেখছি বর্তমান সরকার খুব ভালভাবে দেশ চালাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক এগিয়েছি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য দেশে খাদ্য উৎপাদন। দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেই খাদ্য উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আজই প্রধানমন্ত্রী দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন। এর ফলে আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম।
 
দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী
দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তাছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ।
 
 
বিবার্তা : এ সরকারের বয়স দুবছর অতিক্রম করেছে। এই দুই বছরে একজন সতন্ত্র এমপি হিসেবে জাতীয় সংসদে আপনি অনেক দাবি তুলেছেন। সেসব দাবির কতটুকু পুরণ হয়েছে। কী কী দাবি এখনো পূরণ হওয়া বাকী।
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : আমি জাতীয় সংসদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোড়ালোভাবে কথা বলেছি। আমার সে দাবির সঙ্গে একমত হয়ে সরকার সন্ত্রাস দমনের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবি তুলেছিলাম। বর্তমানে পদ্মা সেতুর কাজ নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই সেতুটি আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। আশা করি এই সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমরা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবো।
 
আপনারা জানেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনও চলবে। এই ট্রেন লাইনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে যশোরের দিকে যাবে। আমি সংসদে দাবি তুলেছিলাম বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ট্রেন লাইন নির্মাণের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি সে ঘোষণাও দিয়েছেন। বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ট্রেন লাইন করা হবে। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকা-কুয়াকাটা সড়কে দুটি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সরকার গত ৫ বছরে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। আমি সব সময় ভাল কাজের পক্ষে। আবার সংসদে দাড়িয়ে সরকারের সমালোচনাও করি। মূল কথা হলো দেশ ও দেশের মানুষের জন্যই আমার কাজ।
 
 
বিবার্তা : জাতীয় পার্টি সরকারের ভেতরে ও বাইরে রোল প্লে করছে। এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : এ বিষয়ে আমি বহুবার সংসদে ব্যাখ্যা দিয়েছি। সংবিধান অনুসারে কথা বলেছি। একই সঙ্গে সরকারের ভেতরে ও বিরোধীদলে থাকা যায় কি না তা নিয়েও সংসদে কথা বলেছি। এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এ নিয়ে আমি কিছু আর বলতে চাই না।
 
বিবার্তা : গত সংসদ নির্বাচনের পর আপনারা ২০জন সতন্ত্র সংসদ সদস্য একটি জোট গঠন করেছিলেন। যতদূর জানি ওই জোটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আপনি। আপনাদের আসলে কার্যক্রম কী?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : আমরা যে জোট করেছিলাম সেটার এখন আর তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলে এই জোটকে কাজ করার সুযোগ দিতে পারেন। তিনি স্পিকারকে বললে আমরা একটি দলীয় জোটের মতো সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা রাখতে পারতাম। এটা করলে সরকারের জন্যও ভাল হতো। আর এই জোটে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে ৩ জন ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগে চলে গেছেন। আমরা যারা আছি আমাদের আর কোনো বৈঠক বা কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।    
 
দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী
বিবার্তা: এর আগে ১৯৯৬ সালে ও ২০০১ সালে আপনি দুবার পিরোজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগের সঙ্গে যদি তুলনা করতে বলি তাহলে কী বলবেন?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে এবারেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। যদিও আমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য না। আমি একজন সতন্ত্র সংসদ সদস্য। আমার এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে সংসদে পাঠিয়েছে। তাদের জন্য কাজ করতে আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। মন্ত্রীদের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও আমাকে অনেক মূল্যায়ন করেন। সুতরাং আগের চেয়ে কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
 
বিবার্তা : সরকারের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলবেন কী?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী :  যেকোনো সরকারেরই সাফল্য ব্যর্থতা থাকে। এ সরকারেরও আছে। তবে এই সরকারের ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের দিকটাই বেশি বলতে হবে।
 
 
বিবার্তা : এই সরকারের বৈধতা নিয়ে বিএনপি বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তোলে। এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার আছে কী?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। সাংবিধানিকভাবে একটি নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে সরকার সবাইকে অংশগ্রহণের অনুরোধ করেছে। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। আমিতো দেখছি সবকিছু সাংবিধানিকভাবেই চলছে। বিদেশি যারা আগে কথা বলতো, তারাও এখন আর কিছু বলে না। আমরা সংসদে কথা বলতে পারছি। কোনো কোনো বিলের বিরোধীতা করি। আবার অনেক বিলের সমর্থন করি। সংসদ চলছে। সংসদে বিরোধীদল আছে। সব কার্যক্রম ঠিকভাবেই চলছে।  
 
 
বিবার্তা : আপনার নির্বাচনী আসন একটিমাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত, নাম মঠবাড়িয়া। গত ২ বছর  এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ কী কী করতে পারলেন?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : আমি মঠবাড়িয়ায় নতুন একটি থানা করার চেষ্টা চালাচ্ছি। ভগিরতপুর নামে ওই থানাটি খুব শিগগিরই হবে বলে আশা করছি। কারণ মঠবাড়িয়া উপজেলাটি আয়তনে অনেক বড়। এখানে ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। উপজেলার এক মাথা থেকে অপর মাথার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার প্রায়। একটি থানার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। সেজন্য আমি নতুন একটি থানা করার চেষ্টা করছি।
 
ঢাকা বরিশাল খুলনাসহ দেশের যেকোনো এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মঠবাড়িয়া-চরখালী-পাথরঘাটা সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় ছিল। সেটি ঠিক করা হয়েছে। এই সড়কটিকে ১৮ ফিট চওড়া করার একটি প্রকল্প শিগগিরই পাস হবে।
 
হলতা-গুলিশাখালী ইউনিয়নের টিয়ারখালীতে একটি হাসপাতাল করা হচ্ছে। পৌর শহরের ডাকবাংলোর সামনে থেকে রাজারহাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। হলতা-মকুমা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কালিরহাট সেতু, বড়মাছুয়া সেতু, ভগিরতপুর সেতুসহ বড় কয়েকটি সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। এছাড়া গত দুই বছরে মঠবাড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় বহু রাস্তা-ও সেতু করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার মান উন্নত করার জন্য আমি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখি। আমি নিজে একজন চিকিৎসক, আমার মেয়ে চিকিৎসক। এলাকার দুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য সবসময় আমি চেষ্টা করে থাকি। বিগত দিনেও করেছি, ভবিষ্যতেও করবো।
 
বিবার্তা : অনেকদিন আগে থেকেই মঠবাড়িয়াকে জেলা করার দাবি তুলেছিলেন। সেটি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী :  হ্যাঁ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা। এই তিনটি উপজেলা একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত। পিরোজপুর থেকে মঠবাড়িয়ার দূরত ৪০ কিলোমিটারের বেশি এবং মাঝখানে রয়েছে বিশাল নদী। অপরদিকে বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা দুটিও বরগুনা জেলা শহর থেকে নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। উপজেলা তিনটি দুটি জেলায় হলেও অবস্থান একই জায়গায়। এই তিন উপজেলায় ১১ লাখের ওপরে জনসংখ্যা। এসব দিক বিবেচনা করে আমি এই তিনটি উপজেলা নিয়ে মঠবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণার দাবি অনেক দিন আগে থেকেই করে আসছি। বর্তমানেও আমার দাবি আছে। সরকার এখন বিভাগ নিয়ে ব্যস্ত আছে। এরপর যখন জেলা করা হবে, আশা করি তখন মঠবাড়িয়াকে জেলা করার দাবি বাস্তবায়ন হবে।
    
বিবার্তা : সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আপনার নির্বাচনী এলাকায় ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন একজন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সতন্ত্র একজন প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য অপহরণ করেছিল। বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখছেন?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : এটা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ধরণের ঘটনা মঠবাড়িয়ার ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। আমি শুনে সাথে সাথে ডিসি, এসপি ও থানার ওসিকে ফোন করেছি। তারা আমাকে কথা দিয়েছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই প্রার্থী মোশারেফ হোসেন সাকুকে উদ্ধার করবে। তারা তাদের কথা রেখেছে। দুই ঘন্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করেছে। মোশারেফ সাকু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছে।
 
বিবার্তা : ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন কী?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে যত রকমের সহযোগিতা দরকার সরকার সবই করছে। আমিও সংসদ সদস্য হিসেবে আমার এলাকার নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা সবাই যাতে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে, ভোটের দিন সব ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসিসহ সবাইকে বলেছি। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
 
বিবার্তা : এবারতো সতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন। আগামী নির্বাচনের আগে অন্য কোনো দলে যোগ দেয়ার চিন্তাভাবনা আছে কী?
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : আপাতত নেই। আর নির্বাচনতো অনেক দেরি আছে। সুতরাং আগে সময় আসুক, তারপর দেখা যাবে কী করা যায়।
 
 
বিবার্তা : সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী : আপনার মাধ্যমে বিবার্তার সব পাঠক ও আমার নির্বাচনী এলাকা মঠবাড়িয়া উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি সেই ১৯৮৬ সাল থেকে মঠবাড়িয়ার জনগণ যেভাবে আমাকে সমর্থন জানিয়ে আসছে ভবিষ্যতেও তারা আমার সঙ্গে থাকবে।
দেশ ভাল চলছে : ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী
 
সংক্ষিপ্ত জীবনী
 
ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে। তিনি ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ছিলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ৬৯ সালে এগারো দফা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মঠবাড়িয়ার আহবায়ক ছিলেন। তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
 
১৯৭৮ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। সেবার নির্বাচিত হলেও এরশাদ সরকার তার ফলাফল কেড়ে নেয়। দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। এ নিয়ে মঠবাড়িয়ায় রুস্তুম আলী ফরাজীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর ১৯৯০ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা বিলুপ্ত করে।
 
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদের সাবেক ডেপুটি লিডার মহিউদ্দীন আহমেদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালেও তিনি পিরোজপুর-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রায় ত্রিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদা সওগাতকে পরাজিত করেন।
 
২০০৯ সালের নির্বাচনে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করলেও বিএনপির প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ডা. ফরাজী দ্বিতীয় হন।
 
২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন।
 
স্ত্রী খাদিজা আক্তার খুশবু মঠবাড়িয়া হাতেম আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষীকা। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। ছোট মেয়ে ডাক্তার।
 
 
বিবার্তা/মহসিন
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com