সৌরভ চৌধুরী উদীয়মান তরুণ শিল্পীদের একজন। রাজশাহী শহরে পদ্মার পাড়ে বেড়ে ওঠা এই তরুণ শিল্পী বিএফএ আর এমএফএ সম্পন্ন করেছেন ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিংয়ে, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ থেকে। এরই মধ্যে সাফল্যের ঝুলিতে বাগিয়ে নিয়েছেন বার্জার ইয়াং পেইন্টার্স আর্ট কম্পিটিশন ২০১৫-এর বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। অন্যদিকে ২০১৫ সালে UODA-এর ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক প্রদর্শনীতে পেয়েছেন অনারেবল মেনশান অ্যাওয়ার্ড। ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীতেও অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
এই কৃতী শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ঢাকার আঁলিয়াস ফ্রাসেঁসের লা গ্যালারিতে। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী শেষ হবে চলতি মাসের ৯ তারিখে। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শিল্পীর আঁকা ৩৮টি শিল্পকর্ম। যার মধ্যে অ্যাচিং অ্যাকুয়াটিন্ট মাধ্যমে ২৩টি, মনোটাইপ প্রিন্ট ১টি, কাঠখোদাই ১টি, কলোগ্রাফ ২টি, মিক্স মিডিয়াতে ৩টি, ড্রাই পয়েন্ট মাধ্যমে ১টি, রিলিফ প্রসেসে ৪টি শিল্পকর্ম, জলরঙ ১টি এবং ২টি ভাস্কর্য।
শিল্পীর বেশির ভাগ শিল্পকর্মে লোকজ ও কাল্পনিক মোটিফের প্রাধান্য লক্ষণীয়। ইটারনাল এক্সিসটেন্স নামের এই সলো এক্সিবিশনে শিল্পী একটি ছোট্ট সাক্ষাৎকার দেন বিবার্তা২৪ডট নেটকে।
বিবার্তা: এটা তো আপনার প্রথম সলো এক্সিবিশন, আপনার অনুভূতি বলুন।
সৌরভ চৌধুরী: আমার প্রথম সলো এক্সিবিশন এটা। দীর্ঘদিন এটারই অপেক্ষায় ছিলাম। লাগাতার প্রচেষ্টার পরে এই এক্সিবিশনটা করতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে। অনেক দর্শক-প্রিয়তা পেয়েছে আমার এই প্রদর্শনীটি। সিনিয়র আর্টিস্ট এবং দর্শকরা অনেক প্রশংসা করছেন যা আমার আগামীতে কাজ করার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বিবার্তা: শিল্পের এই জগতে পা রাখলেন কেন?
সৌরভ চৌধুরী: ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকা ভাল লাগত, ছবি আঁকতে ভালোবাসি তাই।
বিবার্তা: আপনার কাজে পাখি, ট্যাপা পুতুল, বাঘ, পাখা ওয়ালা গরু, মাছ, শামুক,পাখাওয়ালা ঘোড়া, পাখি- এগুলো উঠে আসে কেন?
সৌরভ চৌধুরী: ছোটবেলার লোককথা, উপকথা, মিথ- এগুলো এখনো টানে আমাকে। আমাদের সভ্যতার শুরুটা ছিল গুহা চিত্র দিয়ে, আমি চেয়েছি পৃথিবী শুরুর সভ্যতা থেকে শুরু করে আমাদের লোকজ যে ফর্মগুলো আছে এগু্লোর ফিকশন করতে। তাই আমার কাজে আমি বাইসন, গুহাচিত্রে আঁকা মানুষ, মিশরীয় সভ্যতার কিছু ফর্ম, লোকজ ফর্ম তুলে এনেছি।
বিবার্তা: আপনি নবীন।যারা নবীন শিল্পী আছেন তাদের প্রতি আপনার ম্যাসেজ কি?
সৌরভ চৌধুরী: নবীনদের প্রতি আমার এটাই বলার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে কাজ না করে পরিশ্রম দিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাক তারা, আর কাজ কে ভালবাসুন।
বিবার্তা: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন।
সৌরভ চৌধুরী: বিদেশে কিছু এক্সিবিশন করতে চাই। আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে যেতে চাই যাতে বাইরের মাধ্যমগুলো শিখে দেশে এসে কাজে প্রয়োগ করতে পারি। আর সারাজীবন ছবি এঁকে যেতে চাই।
বিবার্তা/রুবা/জিয়া