বাংলার কবি সাহিত্যিকগণ ধান কাটা বা নবান্ন নিয়ে বহু গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক রচনা করেছেন। কারণ কৃষি প্রধান এই বাংলায় কৃষকই অর্থনীতির প্রাণ শক্তি। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আমরা ছিলাম পরম সুখী, ছিলাম দেশের প্রাণ/ গলায় গলায় গান ছিল ভাই গোলায় গোলায় ধান,/ কোথায় বা সে গান গেলো আজ কোথায় গেল কৃষাণ?’
নজরুল ইসলাম এর সময়কালে ইংরেজ সরকারের ভ্রান্ত এবং স্বৈরাচারি কৃষি নীতির কারণে কৃষকরা ছিল মহা বিপদে। জমিদারের অত্যাচারে এবং অতিরিক্ত খাজনার কারণে কৃষকরা ছিল দিশেহারা। তখনই তিনি এই কবিতা রচনা করেছিলেন। এখন দিন বদলে গেছে। কৃষক এখন সেই প্রাচীন এবং মধ্য যুগের মতো কৃষিকাজে মনোনিবেশ করে ফসল ফলাচ্ছে।
তাই তো নজরুলের অনুজ কবি সুকান্তের কবিতায় আমরা পাই, ‘এই হেমন্তে কাটা হবে ধান,/ আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলের বান। রবীন্দ্রনাথও ফসল কাটার গান রচনা করেছেন।
বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের কৃষি সভ্যতার ইতিহাস ক্লাসিক্যাল সংস্কৃত থেকে প্রাচীনতম। আমাদের সামাজিক স’ন্ধ সূচক শব্দ, নদ-নদীর নাম, কৃষি দ্রব্যাদী ও যন্ত্রপাতির নাম, হিসেব, ওজন ও গণনামূলক শব্দাদী আর্য ভাষা উদ্ভূত নয়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বাঙালি জাতির মতো সংকর। আর্যদের আগমনের বহু পূর্বেই ভারতবর্ষের আদিম অধিবাসীরা একটি কৃষিভিত্তিক ধর্ম ও সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের সংস্কৃতি অতি প্রাচীনকাল থেকে স্বভাবতই কৃষি-কেন্দ্রিক ছিল। এ দেশে ধানই ছিল একমাত্র উপজীব্য এবং শস্য বলতে ধানকেই বোঝাতো সর্বাগ্রে। দুর্গতি-দুর্ভিক্ষের সময়ও এই ধান ঋণ গ্রহণই ছিল জীবনধারণের উপায়।
রাজকীয় শস্যভাণ্ডারে জনসাধারণের জন্য ধান সংরক্ষণ করা হতো। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ দিয়েই ধানের মজুদ গড়ে তোলা হতো। উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ রাজকীয় শস্যভাণ্ডারে জমা দিতে হতো। যা আপদকালীন সময়ে তাদেরই দেয়া হতো ত্রাণ হিসেবে। পুন্ড্রবর্ধনে ও পার্শ্ববর্তী স্থানে সংবঙ্গীয়দের মধ্যে দৈবদুর্বিপাকবশত নিদারুণ দুর্গতির সময় জনগণের মধ্যে রাজকীয় শস্যভা-ার থেকে ধান ত্রাণ হিসেবে বন্টন করার কথা ইতিহাসে (মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত শিলায় ব্রাহ্মীলিপি থেকে) পাওয়া যায়। মহাপ-িত চানক্যের পূর্ব পুরুষেরা বংশপরস্পরায় ধান গুদামজাত করে রাখতেন বলে তাদের পরিবারের উপাধি ছিল কৌটিল্য। আজও বাংলাদেশে সম্পদশালী কৃষককে ‘কোটিল্যা’ বলা হয়।
সেন আমলের লিপিসমূহ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমান উত্তম ধান উৎপন্ন হতো। মহাকবি কালিদাসের রঘু বংশে শুধু ধানের উল্লেখই নেই, বরং ধানচাষের বিভিন্ন পদ্ধতি, ধানকাটা ও ধান ভানা সম্পর্কেও বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে। মাদ্রাজের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকেই।
ধান চাষের ইতিহাস সম্পর্কে পণ্ডিতদের ধারণা : ভারত বর্ষের দাক্ষিণাত্যের কোন এক হ্রদের তীরে প্রথমত জংলী ঘাসের মতো ধান জন্মিত। উদ্ভিদবিদগণ বলেন বৃষ্টিবহুল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই ধানের আদি জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থ রাম চরিতে বাংলাদেশে বহুবিধ ধান জন্মিত বলে উল্লেখ আছে। প্রাচীন বাংলা কাব্যে প্রায় দু’শ প্রকার ধানের নাম আছে, যেগুলো আজ অপরিচিত। তবে এখনও ভারতবর্ষে দশ সহস্রাধিক প্রকার ধান বর্তমান। নবান্ন উৎসব বাঙ্গালীরা আদিমকাল থেকেই উদ্যাপন করতো। প্রায় তিন হাজার বছর আগে, চীন-সম্রাট চিন মিং যুবরাজদের নিয়ে মাঠে স্বয়ং ধান বপন করে সারাদেশব্যাপী ধানোৎসব প্রবর্তন করেছিলেন। ধানই ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক ভিত্তি। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, লাওস, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হয়। নবান্ন উপলক্ষে জাপানসহ কয়েকটি দেশে সরকারি ছুটি থাকে।
এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত ‘বাংলা ও বাঙালী’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন, “যখন লোকে লোহার ব্যবহার করিতে জানিতো না, তখন বেতে বাধা নৌকায় চড়িয়া বাঙ্গালীরা নানা দেশে ধান চাউল বিক্রয় করিতে যাইত। সে নৌকার নাম ছিল ‘বালাম নৌকা’। তাই সে নৌকায় যে চাউল আসিত, তাহার নাম বালাম চাউল হইয়াছে, বালাম বলিয়া কোন ভাষা আছে কি না জানি না, কিন্তু তাহা সংস্কৃতিমূলক নহে।” আস্ত গাছ খোঁদে যে কোন্দা নৌকা বাঙালিরা আজো তৈরি করে, তা নব্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন। রঘু বংশে লেখা আছে এদেশের লোকজন নৌকায় বসবাস ও ধানের চাষাবাদ করতো। এ কথা যে বঙ্গের আদিম অধিবাসীদের সম্পর্কে প্রযোজ্য, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সম্ভবত নৌকায় বসবাসকারী বাংলাদেশের বর্তমান বেদে-সম্প্রদায়, এখানকার সেই আদিম অধিবাসীদের বংশধর।
ধানের জাত বা ফলন দুইই বদলে গেছে। আগে একর প্রতি ধানের ফলন হতো সর্বোচ্চ ২০ মন। এখন উৎপন্ন হয় ৮০ থেকে শত মন পর্যন্ত। জনসংখ্যা যখন অর্ধেকেরও কম ছিল তখন এদেশের কৃষকদের অসচ্ছ্বল অবস্থা ছিল। আবাদ বা ধান চাষ করার জন্য নদী মাতৃক এই দেশের কৃষকরা ছিল বৃষ্টি নির্ভর। এখন আধুনিক যন্ত্রের সাহয্যে সেচ দেয়া হচ্ছে। বন্যা-খরায় ধানের ফলন বিপর্যয় হলে কৃষককে অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো। ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে কৃষক ব্যবহার করতো প্রাকৃতিক সার। গোবর সার বা কম্পোস্ট সার। ষাটের দশকের শেষভাগ থেকে এদেশে কৃষিকাজে ব্যবহার হচ্ছে রাসায়নিক সার। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রসার লাভ করেছে। আগের মতো এখন আর গবাদী পশু দিয়ে হাল চাষ করতে হয় না। এখন যন্ত্র চালিত লাঙ্গল ব্যবহার হয়। জমি চাষ, ধান ও আখ মাড়াই কাজেও এখন আর গবাদী পশুর দরকার হয় না। রোদ-বৃষ্টি ঝড়ের মধ্যে কিংবা রাত জেগে কৃষককে শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না। যে জমি চাষ করতে দুই দিন লাগতো, এখন তা করতে সময় লাগে মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টা মাত্র। অনেক কিছুই আধুনিক হয়েছে এর পরেও এদেশের কৃষক খনা কিংবা ঘাগের বচন এবং পূর্ব পুরুষের অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলে চাষাবাদের ক্ষেত্রে।
কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে ধানই প্রধান ফসল। বৈদিক যুগ থেকে মুসলিম আমল পর্যন্ত শ্লোক ছড়ায়, প্রবাদ-প্রবচনে ও কাব্যে-মহাকাব্যে কৃষির যে মাহাত্ম বিধৃত, তাতে কৃষির প্রতি মানুষের মূল্যবোধ ও আকর্ষণ উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে একটি কৃষি আভিজাত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ধান নিয়ে যুগ যুগ ধরে প্রবচন, শ্লোক এদেশে প্রচলিত। খনার বচন বঙ্গদেশ তথা ভারত বর্ষে খুবই জনপ্রিয় এবং মান্য বিষয়। ‘যার নাই ভাত, তার নাই জাত। যার নাই ধান, তার নাই মান।’ আবার ‘যার আছে ধান। তার কথা টান।’ যুগ যুগ ধরে এদেশে কৃষি কাজকে সর্বোত্তম পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে কৃষিকে অভিজাত পেশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দ্ব্যর্থহীন ভাষায়।
খনার বচন, ‘ধনের মধ্যে ধান্য, তার পরে গাই। কিঞ্চিত ধন সোনা রূপা কিছু কিছু আর যত সব ছাই।’ এই বচনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইংগিত বহন করে। খনার বচন তৎকালে রচিত, যখন ধান এবং গাভী প্রধান ধন-সম্পদ হিসেবে গণ্য, তখন সোনা-রূপার স্থান এর পরে। প্রাচীন সংস্কৃত শ্লোকে আছে স্বর্ণ, রৌপ্য, মানিক ও বস্ত্রাদীদ্বারা গৃহ পরিপূর্ণ থাকলেও অন্নের জন্যে কৃষক তথা কৃষির শরণাপন্ন হতে হয়। একটি বৈদিক ভাষ্য ‘ধান্য হইতে অন্ন উদ্ভূত, ধান্য কৃষি উদ্ধুত। তজ্জন্য সব পরিত্যাগ করিয়া সযতেœ কৃষি করো।’
খনা এবং ঘাগের বচন এদেশের কৃষকেরা যুগের পর যুগ অনুসরণ করে চলেছে। খনার বচন : ‘ষোল চাষে মূলা। তার অর্ধেক তুলা। তার অর্ধেক ধান। বিনা চাষে পান।’ ঘাগের বচনে জমিতে কত টুকু বীজ বপন করতে হবে তার বর্ণণা আছে-‘বর্রে কোদা সের বোয়াও। ডের সের বীঘা তিসী নাও।’ এর অর্থ কোদা ধান বিঘা বারো সের এবং তিসী দেড় সের বপন করো।
খনার বচনানুসারে এখনও এদেশের কৃষক অগ্রাহায়ণে ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। খনা বহুকাল আগে বলে গেছেন, ‘আঘনে (অগ্রাহায়ণ) পৌটি (পুরা)। পৌষে ছেউটি (ছিন্ন ভিন্ন)। মাঘে নাড়া। ফাগুণে (ফাল্গুনে) ফাঁড়া (খণ্ডাংশ)। এর অর্থ অগ্রাহায়ণে ধান কাটলে ষোল আনা, পৌষে কাটলে ছেউটি অর্থাৎ ছিন্নভিন্ন ভাবে কিছু পাওয়া যায়। মাঘে কাটলে কেবল নাড়া অর্থাৎ খড় পাওয়া যায়। আর ফাল্গুনে কিছুই পাওয়া যায় না। এরই ধারাবাহিকতায় হেমন্তে বা অগ্রাহায়ণে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিষাণ-কিষানীরা মহাব্যস্ত। দম ফেলানোর ফুসরত নেই। ক্ষেতমজুরদের বেশ কদর। ধান কাটার পর চৈতালী আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে হবে।
উত্তরাঞ্চলের হাট-বাজারে নতুন ধান উঠেছে। এবারও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে শুধু বাম্পার বললে যথার্থ হবে না একে ‘সুপার বাম্পার’ বলতে হবে। কারণ যথাসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় এবং কোন প্রকার প্রকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরের বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম আসলেই ধানের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। তবে এতে কৃষকের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ধানের বাজার দর পড়ে যাওয়ায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ধানের দাম মন প্রতি কমেছে এক’শ থেকে দেড়’শ টাকায়। আবার সরকারী গুদামে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। আগের ধান চাল এখনও গুদামে রয়ে গেছে। আমন মৌসুমে সরকার ধান ক্রয় করবে কি না। তা নিয়ে জনমনে সংশয়। ধান ক্রয় করলেও তা কৃষকরা সরাসরি খাদ্য দপ্তরের গুদামে বিক্রি করতে পারবে কি না তা নিয়েও তারা শঙ্কিত। দালাল-ফড়িয়ারা গুদামে তৎপর। এবারও মধ্যসত্ত্বভোগী দালালরা ধানের লাভ চুষে নিবে। যা প্রতি বছরের চিত্র।
চলনবিলের বোনা আমন ধান ক্ষেতে এখনও কাদা-পানি আছে। বিলাঞ্চলের নিচু এসব জমির ধান কাটতে আরও এক পক্ষকাল দেরি আছে। তবে পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, নাটোর, গাইবান্ধা, রাজশাহীর উঁচু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবার আরও বেড়েছে।
ধানের বাজার দর পড়ে গেছে এমন খবর সংবাদপত্রে পড়লাম। সেই জমিদারদের আমল থেকেই কৃষকরা নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছে। তখন মধ্যস্বত্বভোগী অতি লোভী শোষক শ্রেণীর শোষণের শিকার হতে হয়েছে কৃষকদের। এখনও তা অব্যাহত। বাজারের পরিস্থিতি দেখে এ কথা বলা যায় যে এখনও কৃষককে ঠকানো হচ্ছে নানা কায়দায়। সরকার ধান ক্রয় করলে বাজারের ভারসাম্যতা বজায় থাকে। সরকার ধান ক্রয় করছে বা করবে। কিন্তু কৃষক সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারে না সরকারি গুদামে। সেখানেও দালাল-ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম।
আধুনিক এই যুগেও শোষণের শিকার সরাসরি কৃষক শ্রেণী। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবার তারা শঙ্কিত ধানের বাজার দর আরও কমে যাবে। কারণ গত চার-পাঁচ বছর ধানের ফলন হয়েছে খুবই ভাল। অনেক কৃষকের ঘরে পুরাতন ধান আছে। আবার সরকারি গুদামও ভর্তি। স্থান সংকুলান হবে না সরকারি গুদামে। সরকার ধান ক্রয় করে রাখবে কোথায় এমন প্রশ্ন কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশসহ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ চীন, ভিয়েতনাম, লাওসের অভিজ্ঞতা আমাদের সরকার কাজে লাগাতে পারে। সরকারি অফিস, স্কুল- কলেজের অতিরিক্ত কক্ষে ধান সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ভারতের পাঞ্জাবে এভাবে গম এবং ভিয়েতনাম ও লাওসে ধান সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। সরকারকে ধান-চাল রফতানি করার জন্য বাজার খুঁজতে হবে। শ্রীলঙ্কায় চাল রফতানি হচ্ছে। এভাবে অন্য কোন দেশে বাজার অন্বেষণ করতে হবে। এতে সরকার বা দেশ মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা আয় করতে পারবে। ধান-চালের বাজার দরও বাড়বে। তাতে সরাসরি লাভবান হবে কৃষক।
ধান না থাকলে যে মান থাকে না তা বহুবার প্রমাণ হয়েছে এদেশে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষে বহু জীবনের অবসান হয়েছিল এবং আমাদের অর্থনীতির ভীত নড়িয়ে দিয়েছিল।
(লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট)
মোবা : ০১৭১০৮৬৪৭৩৩