সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও জায়গা বরাদ্দ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন, বিশ্ব ইজতেমার জমি বরাদ্দ, বাংলাদেশের ওআইসি সদস্য পদ লাভ এবং সউদি আরবে কম খরচে হজ যাত্রীদের পবিত্র হজ পালনের উদ্যোগ, মদ ও জুয়া নিষিদ্ধকরণ এবং বেতার ও টেলিভিশনে আল কুরআনের বাণী প্রচার করাসহ ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে অভিমত রেখেছেন এদেশের ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষকরা। পৃথক সাক্ষাৎকারে তারা বাসসকে এ সব অভিমত জানান।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামসহ সকল ধর্মের যথাযথ স্থান সঠিকভাবে নির্ধারণের ব্যাপারে খুবই যত্নবান ছিলেন। তিনি ইসলামী আদর্শ ঈমান ও আকিদা, তাওহিদ, রিসালাত, ইসলামী তাহযীব-তমুদ্দুন ও সুন্নতি তরিকা সমুন্নত রাখতে সদা তৎপর ছিলেন।
এ ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার ব্যক্তি, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামের হুকুম-আহকাম ভিত্তিক সুন্নতি তরিকা অনুযায়ী জীবন যাপন করতেন বলে ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষকরা মন্তব্য করেছেন।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মদিনা সনদের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অক্ষুণ্ন রেখে ইসলামী মূল্যবোধকে যেভাবে সন্নিবেশিত করেছেন তা পৃথিবীর আর কোন দেশে কেউ করতে পারেনি। নবী করিম (দ.) আদর্শ ও দাওয়াতি দর্শনকে লালন করে মদিনা সনদের আলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইসলামের উদার মানবতাবাদী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ছিলো জাতির জনকের সুদূর প্রসারী চিন্তারই এক অমিত সম্ভাবনাময় স্বর্ণ ফসল।
বিবার্তা/জিয়া