ইতিহাসের ৫ ভয়ংকর নারীর কাহিনী

ইতিহাসের ৫ ভয়ংকর নারীর কাহিনী
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৬, ২০:১৩:২৬
ইতিহাসের ৫ ভয়ংকর নারীর কাহিনী
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
নারী রমনীমোহন, স্নেহময়ী, কোমলমতি। এই নারীরাও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। ইতিহাসে তার প্রমাণও পাওয়া যায়। সে রকমই কয়েকজন নারীর লোমহর্ষক কাহিনী তুলে ধরা হলো। 
 
ক্যাথেরিন নাইট
 
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে আজীবন কয়েদিপ্রাপ্ত প্রথম নারী ক্যাথেরিন ১৯৫৫ সালের ২৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। দাম্পত্য জীবনের অশান্তিই তার অপরাধ প্রবণতার লক্ষণ। তিনি তার পুর্বেকার দুই স্বামীর সাথেও নিষ্ঠুর আচরণ করতেন। যেমনটি তিনি করেছিলেন তার সর্বশেষ স্বামী প্রাইস এর সাথে। প্রাইস এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন একদিন সে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। খুন করতে সে ব্যবহার করেছিল কসাই এর ছুরি এবং হত্যা করার পরে মৃত স্বামীর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রান্না করে সন্তানদের খাবার টেবিলে পরিবেশন করেন। সৌভাগ্যবসত খাবার শুরুর আগেই পুলিশ বিষয়টি জেনে যায়।
এলিজাবেথ বাথরি
 
হাঙ্গেরি রাজ্যের স্বনামধন্য বাথরি পরিবারে ১৫৬০ সালে জন্ম নেওয়া কাউন্টেস এলিজাবেথ বাথরি ১৬১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ক্রমিক খুনের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া খুনি। যদিও তার খুনের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ইতিহাসে তিনি ‘ব্লাড কাউন্টেস’ নামেই সর্বজন বিদিত। তিনি প্রধানত হাঙ্গেরির কৃষক কন্যাদের উপর্যুপরি মারধোর, অঙ্গচ্ছেদ ও পুড়িয়ে খুন করতেন। আমৃ্ত্যু গৃহবন্ধী ছিলেন কিন্তু উঁচু সামাজিক মর্যাদার কারণে প্রকাশ্য বিচারের সম্মুখিন হতে হয়নি তাকে।
 
ইলসে কচ
 
১৯০৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই নারী ‘বুচেনওয়াল্ডের ডাইনী’ নামেই অপরাধ জগতে পরিচিত। তিনি নাৎসি বাহিনীতে নারী হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন এবং নৃশংসতায় অনেক পুরুষকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৪০ সালে ২ লাখ ৫০,০০০ নিহত শত্রু সৈন্যের চামরা নিয়ে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৬৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর আইচাচ নারীদের জেল খানায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
 
মেরি এন কটন
 
ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ক্রমিক খুনি, ১৮৩২ সালে ডার্হাম কাউন্টির ল’মোর্সলে অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। ২০ বছর বয়সে উইলিয়াম মউব্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ডেবনের প্লেমাউথ অঞ্চলে সংসার শুরু করেন। এই দম্পতি ৫ সন্তানের জন্ম দেয়, যাদের মধ্যে ৪ জনই মারা যায়। উত্তর পশ্চিমের দিকে সরে গেলেও দুঃখ তাদের পিছু ছাড়ল না। সন্তানদের পিছু পিছু উইলিয়ামও মারা যায় ১৮৬৫ সালে। তার অবশিষ্ট দুই সন্তানের একজন ও তার ২য় স্বামী জর্জও একই রোগে মারা যায়। তারপর তার পরবর্তী সময়ে তার আরও বারো সন্তান, তিন স্বামী এক বন্ধু, এক প্রেমিক সকলেই একই রোগ অর্থাৎ পাকস্থলীর প্রদাহজনিত জ্বরে মারা যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিকরা আবিস্কার করে সকলকে সে আর্সেনিক বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে এবং এই অপরাধে ২৪ মার্চ ১৮৭৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
 
বেলে গানিস
 
৬ ফুট উচ্চতার ৯০ কেজি ওজন বিশিষ্ট এই নারী আমেরিকার অন্যতম ভয়ংকর একজন সিরিয়াল খুনি। নরওয়ের বংশোদ্ভুত এই শক্তিশালী নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তার দুই স্বামী ও সকল সন্তানদের খুন করার অভিযোগ আসে। খুনের কারণ খুব সহজ, লাইফ ইন্স্যুরেন্সের টাকা উত্তোলনের সুবিধার্থেই সে এসব খুন করে। এভাবে সে প্রায় শতাধিক ইন্স্যুরেন্স পলিসি উত্তোলন করে। তার অতিমানবীয় অবয়বের জন্য আমেরিকার অপরাধ ইতিহাসে তাকে নারী ‘ব্লুবিয়ার্ড’ নামে চিহ্নিত করা হয়। শাহারুল৮২৩ এর ব্লগ থেকে..
 
বিবার্তা/মহসিন
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com