ইংলিশ ফুটবল তারকারা সব সময় মিডিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। প্রচার মাধ্যমের কর্তাব্যক্তিগণও সেরা ফুটবল তারকাদের মজার ঘটনা প্রচার করে দর্শকদের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দেন। ফুটবলের এমনই দশটি মজার ঘটনা বিবার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো: 
	 
	ভাত খেয়ে খেলতে নামা: ঊনিশ শতকের শেষ দিকে ইংলিশ গোলরক্ষক জ্যাক রবিনসন অদ্ভূত সব কাণ্ড করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিতেন। এই গোলরক্ষক মাঠে নামার আগে খুব ভালোমতো এক প্লেট ভাত খেয়ে নিতেন। তার বিশ্বাস ছিল, ভাত খেয়ে মাঠে নামলে তাকে গোল হজম করতে হবে না। তার জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে। কাকতলীয়ভাবে একটি ম্যাচে সে ভাত না খেয়ে মাঠে নেমে ১১ গোল হজম করে! 
	 
	মহামূল্যবান ১ পাউন্ড: ২০০২ সালে এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় লিভারপুল এবং আর্সেনাল। শিরোপা জয়ের জন্য দু’দলই ছিল মরিয়া। এ সময় মাঝ মাঠে পড়েছিল ১ পাউন্ডের একটি কয়েন। লিভারপুলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জেমি কারেগারের পায়ে লেগে কয়েনটি চ্যাপ্টা হয়ে যায়। তিনিও পিছলে পড়েন। খেলা বন্ধ করে কারেগার কয়েনটি হাতে তুলে নেন। ব্যাস, এতেই তার বিপদ ঘটে। হঠাৎ খেলা বন্ধ করার কারণে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। এখানেই শেষ নয়, লিভারপুল ক্লাবকেও ৪০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। 
	 
	মাসকট বহিষ্কার: ফাউল, অথবা কোনো অন্যায় আচরণের জন্য মাঠ থেকে খেলোয়াড় বহিষ্কার হয়। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো মাসকটকে সরিয়ে নেওয়া হয় বা বের করে দেওয়া হয়, এমন খবর কেউ শুনেছেন কি কখনো? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এমন ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৮ সালে ব্র্যাডফোর্ড সিটির বিপক্ষে লড়ছিল লিংকন সিটি। এক পর্যায়ে খেলোয়াড়রা দাবি করেন, মাসকট সমস্যা করছে, তাতেই কাজ হলো। মাসকটকে মাঠ থেকে বিদায় করা হলো। 
	 
	ডাক নাম বাদ: সেল্টিকের মধ্যমাঠের তারকা ডেভিড প্র্যাট। তার ডাক নাম প্র্যাট। এ নামেই গর্ববোধ করতেন তিনি। কিন্তু এতেই কাল হয়ে দাঁড়াল তার। ২০০৮ সালে কিপেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারির সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। ম্যাচের তিন মিনিটের সময় কিপেনহ্যামের খেলোয়াড়কে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেন। এরপর থেকে ডেভিড তার ডাক নাম প্র্যাট বাদ দেন। ডেভিড প্র্যাট মনে করেন, ডাক নামের কারণেই তার এ দুর্দশা। সাথে সাথে ডাক নাম প্র্যাট বাদ দেন।
	 
	কৌতুকের খেসারত: সামান্য কৌতুক করার খেসারত দিতে হয়েছে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফরোয়ার্ড রডনি মার্শকে। ১৯৭৩ সালে ইংলিশ ফুটবলার স্যার আলফ রামসেকে নিয়ে কৌতুক করলে রডনি মার্শকে চিরতরে জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।ইংল্যান্ডের হয়ে রডনি মার্শ ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং ১টি গোল করেন।  
	 
	রেগে গিয়ে টিভি ভাঙা: কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের প্রাক্তন সহকারী কোচ ব্রুস রিকো একবার রেগে গিয়ে টিভি ভেঙে ফেলেন। ১৯৯৭ সালের ২২ নভেম্বর কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স থেকে তাকে বাদ দেয়া হলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিভি ভেঙে ফেলেন।  
	 
	দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড়: এভারটনের গোলরক্ষক রিচার্ড রাইট দলের প্রয়োজনে সব সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তার স্ত্রী যখন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করছে তখনও তিনি ফুটবল মাঠে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। 
	 
	ড্রেসিংরুমে সমর্থক: ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও আলজেরিয়ার ম্যাচ গোলশুন্য ড্র হলে ইংলিশ সমর্থকরা বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এদের মধ্যে এক সমর্থক ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করে টয়লেটে না গিয়ে খেলোয়াড়দের সামনেই মলমূত্র ত্যাগ করে। 
	 
	অন্যরকম প্রতিজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক মার্কাস হ্যানমেন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি যতক্ষণ গোল হজম না করবেন ততক্ষণ শেভ করবেন না। তিনি টানা ছয় সপ্তাহ শেভ করেননি। 
	 
	বিশৃংখল মাসকট: ফুটবলে মাসকটের ইতিহাসে রবি দি ববি সবচেয়ে বিশৃংখল এবং দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৮০ সালে ২২ মার্চ এমিরেটস স্টেডিয়ামে সেল্টিক এবং কুইন্স রেঞ্জার্সের ম্যাচ চলার সময় কুইন্স রেঞ্জার্সের জার্সির সাথে মাসকটের রং মিলে গেলে কুইন্স রেঞ্জার্সের খেলোয়াড়রা আপত্তি জানায়, তা ছাড়া মাসকট মাঠের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে মাঠের বাইরে রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: ইন্টারনেট।
	 
	বিবার্তা/জিয়া