যখন মরুভূমির প্রাণীর কথা জিজ্ঞেস করা হয় তখন অধিকাংশ মানুষ উটের কথা বলবেন। উট হলো বিস্ময়কর সৃষ্টি। এটি অত্যন্ত কর্কশ পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। চলুন জানা যাক এই রহস্যজনক প্রাণী সম্পর্কে জানা অজানা নানা তথ্য।
উটের প্রাথমিক কিছু তথ্য
১। উটের প্রজাতি দুই ধরনের, এক কুঁজ বিশিষ্ট উট যা মধ্যপ্রাচ্যে এবং আফ্রিকায় বাস করে এবং দুই কুঁজ বিশিষ্ট উট, যা এশিয়ার কেন্দ্রে বাস করে।
২। camel (উট) শব্দটি এসেছে লেটিন শব্দ camelus থেকে।
৩। উট সাধারণত ৪০-৫০ বছর বেঁচে থাকে।
৪। পূর্ণবয়স্ক উট সাধারণত ৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়।
৫। উট প্রতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।
৬। উট দীর্ঘ সময় ধরে ২৫ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। এর জন্য এগুলো মরূভূমির জন্য চমৎকার পরিবহন হিসেবে কাজ করে।
উট যেভাবে মরুভূমির সজ্জা
১। উট প্রায় দুই মাস পানি পান না করেও বেঁচে থাকতে পারে।
২। উটের ঘন জামাটি আলো বিকিরণ করে এর ত্বককে সূর্য থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এই জামাটি গ্রীষ্মে আরো বেশি আলো বিকিরণ করে।
৩। উটের লম্বা চিকন পাগুলো ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যাতে তারা গরম বালু থেকে অনেক উপরে থাকে। যদিও তাদের পা চিকন কিন্তু তা অনেক শক্তিশালী, এবং তা ১ হাজার পাউন্ড (৪৫৩ কেজি) ওজন বয়ে নিতে পারে।
৪। উটের চ্যাপ্টা পায়ের তালু তাকে বালুতে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৫। উটের শরীরে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে বালুর প্রবাহ থেকে রক্ষা করে। এর মধ্যে রয়েছে নাসারন্ধ্র যা খুব নিকটে, লম্বা চোখের পাতের লোম, এবং কানের চুল।
উটের মজাদার তথ্য
১। পৃথিবীর অধিকাংশ উট গৃহপালিত করে ফেলা হয়েছে শুধু মাত্র কিছু বাদে (প্রায় ১০০০) যারা বন্যভাবে বাস করে চীনের গোবি মরুভূমিতে ও মঙ্গোলিয়ায়।
২। এটা বিশ্বাস করা হয় যে উটকে প্রথম গৃহপালিত করা হয় দক্ষিণ আরবে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে।
৩। প্রাচীন উট (Protylopus) ইওসিন পিরিয়ডে (৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন বছর আগে) বাস করত। তখন এর আকার ছিলো প্রায় আধুনিক কালের খরগোসের মত।
৪। উটকে প্রথম ব্যবহার করা হয় কারকারের যুদ্ধে ৮৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
বিবার্তা/জিয়া