আমাদের মধ্যে অনেকেরই অনেক জিনিসে অপছন্দ, যদি হয় সেটা নিজের কণ্ঠস্বর তবে মনে হয় বলা ভুল হবে না। হ্যাঁ, আসলেই এমন হয়। আপনি নিজের কণ্ঠস্বরকে যেভাবে শুনতে পেতে চান, আশার অনুরূপ আপনার কাছে তা শোনায় না। তাই নয় কী?
স্বাভাবিকভাবে আপনার কাছে অপরের কণ্ঠস্বরকে বেশ কোমল মনে হয়! পাখির আওয়াজ, মৌমাছির ভন ভন শব্দ, লোকজনের স্বাভাবিক কথাবার্তা, এমপিথ্রি মিউজিক; এসব শব্দ আমাদের শ্রুতিমধুর বলে মনে হয়। এমনকি কানে হেডফোন লাগিয়ে ঘুমানোটা অনেকের কাছে বেশ আনন্দের হয়ে থাকে।
এর কারণ হল, এইসব শব্দ তরঙ্গ শুধুমাত্র বায়ুর মধ্যে দিয়ে সংকোচন আর প্রসারণের মাধ্যমে প্রেসার সৃষ্টি করে যা আপনার কানের টিম্পেনিক পর্দাকে ধাক্কা দেয়, যা পরে সিগনালে রূপান্তরিত হয়। এই সিগন্যাল অডিটরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে পৌঁছায় এবং মস্তিস্ক আপনাকে বলে দেয় এর মানে কী! এই প্রক্রিয়া খুবই প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক।
কিন্তু আপনি যখন আপনার নিজের মুখের উচ্চারিত শব্দ শুনবেন তখন আসলে কী হয় জানেন?
আসলে আপনি যখন নিজের মুখ দিয়ে কথা বলেন, তখন আপনার কণ্ঠে সৃষ্ট কম্পন আপনার অভ্যন্তরীন স্কাল বা কংকাল শরীরকে কম্পিত করে অবশেষে আপনার কানে পৌঁছায়। যা অন্য কোথাও থেকে শোনা শব্দের মত না। ফলে নিজের কণ্ঠস্বরে সৃষ্ট শব্দ শুনতে আমাদের বিরক্তি বোধহয়!
এখন, তাই বলে কী নিজের কণ্ঠস্বরকে অপছন্দ বা ঘৃণা করতে যাবেন? আমাদের মনে হয়, আপনার এটাকে ভালবাসা উচিত।
বিবার্তা/জিয়া