‘অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থান বাড়ানোই লক্ষ্য’

‘অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থান বাড়ানোই লক্ষ্য’
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৮:৫৬:৪৬
‘অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থান বাড়ানোই লক্ষ্য’
সিঙ্গাপুরের ভারসাগি ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ভিক্টর লি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+
বাংলাদেশের আনঅথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি বা ব্যক্তির ভিসা ট্রেডিংয়ের কারণে সিঙ্গাপুরে অভিবাসন ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে।ফলে সিঙ্গাপুরে যেতে বাংলাদেশের একজন শ্রমিককে এখন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা গুণতে হয়। ওই শ্রমিককে এ ব্যয় উঠাতে প্রায় ৩ বছর কাজ করতে হয়। আবার কেউ এক বছর পর ফিরে আসলে তাকে বিনিয়োগের বড় অংশ হারাতে হয়। 
 
এ লক্ষ্যে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ভারসাগি ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ভিক্টর লি।বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
 
ভিক্টর লি বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওয়েবসাইটে সিঙ্গাপুরগামী কর্মীরা এবং রিক্রুটিং লাইসেন্সধারীরা তাদের কর্মীদের নাম লিপিবদ্ধ করতে পারবে। যা সিঙ্গাপুরের সকল কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং নিজস্ব প্রয়োজন মাফিক কোম্পানিগুলো তাদের অর্ডার নিশ্চিত করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে সরকার একটি ফি নির্ধারণ করে দেবে। যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের অথরাইজড সেন্ডিং এজেন্সি এবং সিঙ্গাপুরের এমপ্লয়মেন্ট এজেন্ট অথবা চাকরিদাতা অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এতে প্রাথমিকভাবে অভিবাসন ব্যয় ৫০ শতাংশের বেশি কমে আসবে।
 
এ পদ্ধতিতে ব্যয় কমার মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আনঅথরাইজড এজেন্সি বা ব্যক্তি যারা ভিসা ট্রেডিং করেন তারা দূরীভূত হবেন এবং মধ্যস্বত্বভোগিদের দৌরাত্ম্যও শূন্য পর্যায়ে নেমে আসবে। সরকার তথা মন্ত্রণালয় অতিসহজেই পুরো বিষয়টি মনিটরিং করতে পারবে।
 
‘কিন্তু বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক আনঅথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি বা ব্যক্তি ভিসা ট্রেডিংয়ে জড়িত থাকায় অভিবাসন ব্যয় বেড়েই চলেছে। কারণ এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বেশি মূল্যে আইপিএ বা ভিসা কিনে। এতে এক ধরনের অনৈতিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ফলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, রিক্রুটিং এজেন্সি এবং মধ্যস্বত্বভোগিরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরীব অভিবাসনগামী কর্মী’ বলেন ভিক্টর লি।
 
এই ব্যবসায়ী জানান, সিঙ্গাপুরের এমপ্লয়মেন্ট এজেন্ট অথবা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের অথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ ও অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে অভিবাসন ব্য সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপালসহ অন্যান্য শ্রমিক রফতানিকারক দেশগুলোর কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু থাকায় অভিবাসন ব্যয় কম। অভিবাসন ব্যয় কমানো সম্ভাব হলে সাধারণ কর্মীরা অধিকহারে সিঙ্গাপুরে যেতে পারবে এবং কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
 
বিবার্তা/মৌসুমী
 
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com