কথায় কথায় পাশের বাড়ির মেয়েটার কথা টেনে আনতেন তার বাবা-মা, সহ্য হয়নি ছেলেটার। তাই অ্যাসিড ছুড়ে মেয়েটাকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী অঙ্কুরলাল পানোয়ার। কয়েকদিন লড়াইয়ের পর মারা যান প্রীতি রাঠি নামে পেশায় নার্স ওই নারী। ২০১৩ সালের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত অঙ্কুরকে মৃত্যুদণ্ড দিল মুম্বাইয়ের বিশেষ মহিলা আদালত।
মুম্বাইয়ের মহিলা আদালতের বিশেষ বিচারক এএস শিন্ডে অঙ্কুরের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ৩২৬-বি (অ্যাসিড ছোড়া) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় অঙ্কুর।
২০১৩ সালে দিল্লির বাসিন্দা ২৪ বছরের প্রীতি মুম্বাইয়ের ডিফেন্স হাসপাতালে নার্সের চাকরি পান। তার দিল্লির বাড়ির পাশেই থাকতেন অঙ্কুর। ওই বছর প্রীতির পিছু নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বাই যায় অঙ্কুর। বান্দ্রা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই প্রীতির মুখে সালফিউরিক অ্যাডিস ছোড়ে মুখে কাপড় ঢাকা অঙ্কুর। হামলার সময় খানিকটা অ্যাসিড খেয়ে ফেলায় ‘মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর’ হয়ে মারা যান প্রীতি। পরের বছর জানুয়ারিতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয় অঙ্কুর।
মুম্বাই পুলিশ এই মামলায় ১৩শ’ ৩২ পাতার চার্জশিট জমা দেয়। ৯৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। পুলিশ জানায়, হোটেল ম্যানেজমেন্টে স্নাতক প্রীতির উন্নতি সহ্য করতে পারেনি অঙ্কুর। পড়াশোনা শেষ করার পরেও অঙ্কুর কোনো চাকরি পায়নি। আর পাশের বাড়ির মেয়েটা কী সুন্দর চাকরি পেয়ে গেল- এই নিয়ে ছেলেকে কথা শোনাতেন অঙ্কুরের বাবা-মাও। তাই প্রীতির উন্নতি ঠেকাতে তার মুখ বিকৃত করে দিতে চেয়েছিলেন অঙ্কুর। আর তাই অ্যাসিড হামলার ছক।
গত মঙ্গলবার আদালত ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করার পরই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন অঙ্কুরের মা কৈলাস পানোয়ার। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে বলেন, তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রীতির বাবা অমর সিংহ রাঠি অবশ্য প্রথম থেকেই অঙ্কুরের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে এসেছেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিবার্তা/নিশি