‘খন্দকার মোশতাকের সহযোগিতায় মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তার পরিকল্পনায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। জিয়াই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করীম রাজু।
তিনি আরো বলেন, মেজর জিয়া মুহাজির কোটায় পাকিস্তানের স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে এসএসসি পাশ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে তাকে বিশেষ দীক্ষা প্রদান করা হয়। ১৯৭০ এর নির্বাচনের সময় তিনি দেশে এসে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের তালিকা তৈরি করেন। তিনি আবার পাকিস্তানে ফিরে যান। ১৯৭১ সালে তিনি আবারও বাংলাদেশে আসেন এবং বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে থাকেন। জিয়া চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সর্বশেষ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন।
বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান শিশিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়ার রহমান সফি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেরোবি শাখার সদস্য সচিব মশিউর রহমান, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন প্রমুখ।
বিবার্তা/সাইফুল/রয়েল