আকতার জাহানকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ

আকতার জাহানকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৮:১৭:১৮
আকতার জাহানকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় ওই শিক্ষকের ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, পেনাল কোড ৩০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ধারাটির অর্থ হলো, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া। তবে এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারো না কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষক আকতার জাহান আত্মহত্যা করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
 
ওসি বলেন, ‘মামলাটি আমাদের কাছে খুবই স্পর্শকাতর। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই মামলাটির তদন্ত করা হবে। শিক্ষক আকতার জাহানকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে আসলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
 
কয়েক বছর আগে স্বামী তানভীর আহমদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শিক্ষক আকতার জাহানের। এরপর থেকে তিনি নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতেন। থাকতেন রাবির জুবেরি ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে। শুক্রবার বিকেলে এই কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কক্ষে তার হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়।
 
শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিক্ষক আকতার জাহানের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক ধারণা করছেন, বিষক্রিয়ায় আকতার জাহানের মৃত্যু হয়েছে।
 
এদিকে শনিবার দুপুরেই স্বজনরা হাসপাতাল মর্গ থেকে আকতার জাহানের লাশ গ্রহণ করেন। বিকেলে রাবিতে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার লাশ ঢাকায় নেয়া হয়।
 
আকতার জাহান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তবে শিক্ষকতার জন্য থাকতেন রাজশাহীতে। 
তার সাবেক স্বামী রাবির একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ। আকতার জাহানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি তার বিভাগের ছাত্রী সোমা দেবকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সোমা দেবও রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।
 
শিক্ষক আকতার জাহান তার সাবেক স্বামীর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক, মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে (ছেলে) যেন ওর বাবা কোনোভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে- সে যে কোনো সময় সন্তানকে মেরে ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে।’
 
এমন সুইসাইড নোট লিখে আকতার জাহান আত্মহত্যা করায়, অনেকেই মনে করছেন তাকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ দিয়েছেন তার সাবেক স্বামী তানভীর আহমদ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয়টি তুমুলভাবে আলোচিত হচ্ছে।
 
বিবার্তা/রিমন/রয়েল
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com