চটজলদি রান্নার জন্য মাইক্রোওভেনের জুড়ি নেই। এর ফলে প্রয়োজন হয় না বারবার গ্যাসের সামনে যাওয়ার। তবে অনেকেই হয়তো মাইক্রোওভেনের ব্যবহার সম্পর্কে অতটা ওয়াকিবহাল না। শুধু মাত্র রান্নাই নয়, আরও অনেক ভাবেই কামাল দেখাতে পারে এই মেশিন। আসুন দেখে নেয়া যাক আর কী কী করতে পারে মাইক্রোওভেন।
> পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ দিয়ে জল বের হয়। কিন্ত পেঁয়াজটাকে যদি ৪০ সেকেন্ড মাইক্রোওভেনে গরম করে নেন। তাহলে চোখ দিয়ে জল বেরনোর সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
> ২০ সেকেন্ড মাইক্রোওভেনে ফল গরম করে নিলে খুব সহজেই ফলের রস বের করা যায়।
> জমে যাওয়া মধুকে মাইক্রোওভেনের সাহায্যে খুব সহজেই তরল করা যায়। জার বা পাত্রের মুখ খুলে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট গরম করে নিন। ব্যস তাহলেই কেল্লাফতে।
> ডিমের পোচ- একটি পাত্রে ডিমের কুসুমের সাথে ১/৪ কাপ জল দিয়ে মাইক্রোওভেনে এক মিনিটের জন্য গরম করলে খুব সহজেই পোচ বানিয়ে ফেলা সম্ভব।
> রসুনের খোসা ছাড়ানো সহজ করে দেয় মাইক্রোওভেন। একটা ন্যাপকিনে রসুন রেখে ১০ সেকেন্ডের জন্য মাইক্রোওভেনে গরম করলেই খোসা ছেড়ে বেড়িয়ে আসবে ন্যাপকিনে।
> স্ট্যাম্প জোগাড় করা যাদের নেশা, তারা স্ট্যাম্প তুলতে গিয়ে অনেক সময়েই বিপদে পরেন। তবে মাইক্রোওভেনে স্ট্যাম্প সমেত খাম রেখে তাতে দুফোঁটা জল দিলেই খুব সহজেই খাম থেকে উঠে আসবে স্ট্যাম্প।
> জীবাণুমুক্ত মাটিতে ফলন ভালো হয়। মাইক্রোওভেন সেফ ট্রে-তে মাটি নিয়ে কিছুক্ষণ গরম করলেই মাটি জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।
> নোংরা কিচেন স্পঞ্জকে জীবানু মুক্ত করতে চান? স্পঞ্জটাকে ভিনিগারে ভিজিয়ে নিয়ে মাইক্রোওভেনের ভিতর রেখে, ২ মিনিটের জন্য উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করে নিন। আপনার কিচেন স্পঞ্জ হয়ে উঠতে পারে ৯৯ শতাংশ জীবাণুমুক্ত।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি