নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই শেখ কামালের নামটিও জানে বলে মনে হয় না। তিনি জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই। তবে এর বাইরেও আপন পরিচয়ে সমুজ্জ্বল তিনি।
কী না ছিলেন তিনি? জাতির পিতার সন্তান, অথচ তার চালচলনে অহমিকার লেশমাত্র ছিলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে আসছেন রিকশায় চড়ে, মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলছেন, ব্যাডমিন্টন খেলছেন, দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে নিতান্তই একজন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু এই সাধারণত্বের আবরণের নিচে কী অসাধারণ মানুষ ছিলেন শেখ কামাল, তা বহুলাংশে অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে। অথচ নতুন প্রজন্মের তা জানা একান্ত জরুরি। কে করবে এই মহৎ কাজটি?
এগিয়ে এসেছেন একজন - সেলিম রেজা। জন্ম তার গোপালগঞ্জে। ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী এই মানুষটি ব্যক্তিজীবনে পর্যটনপেশায় যুক্ত এবং পার্লামেন্টারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান। তিনিই দীর্ঘ দিনের চেষ্টা ও সাধনায় রচনা করেছেন গবেষণামূলক গ্রন্থ 'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল'।
'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল' বইটি হাতে নিলেই সেলিম রেজার গভীর অভিনিবেশ ও অধ্যবসায়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ বইতে এমনসব মানুষের লেখা তিনি সন্নিবেশ করেছেন, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট হলেও লেখক অন্তত কেউ নন। সেলিম রেজা তাদের হাতেও কলম তুলে দিয়েছেন এবং লিখিয়ে নিয়েছেন শেখ কামালের অজানা সব কথা।
সেসব স্মৃতি ও কথা কী, জানতে হলে পড়তে হবে 'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল' বইটি। আমরা এখানে কেবল কয়েকজনের নামই তুলে ধরছি, যাতে পাঠকরা লেখকবৈচিত্র্যটি অনুভব করতে পারেন। এখানে লিখেছেন প্রখ্যাত ফুটবলার সালাহউদ্দীন ও অমলেশ সেন, বিশিষ্ট ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, নৃত্যশিল্পী মিনু বিল্লাহ, অভিনেত্রী ডলি জহুর, সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং এরকম আরো অনেকে।
এসব লেখা থেকে চেনা যাবে ব্যক্তি শেখ কামালকে, যিনি ছিলেন স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের তারুণ্যের প্রতীক। যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র। তার গড়া এই দলটি দেশের ফুটবলে এনেছিল আধুনিকত্বের ছোঁয়া।
এমন মানুষকে কি ভোলা যায়? কিন্তু আমরা সবাই তাকে ভুলে বসেছিলাম। সেলিম রেজা 'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল' বইটি লিখে আমাদের আবার জাগিয়ে দিয়েছেন। তাকে অশেষ সাধুবাদ।
'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল' বইটি বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক - এটাই কাম্য।
'ক্রীড়ানায়ক শেখ কামাল' : সেলিম রেজা/ প্রকাশক : ইয়াং ভয়েস/প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ/মূল্য : ৫০০ টাকা/প্রাপ্তিস্থান
[email protected]
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী