জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণের কাজ আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার উত্তরা ও রমনা থানায় এবং কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়াতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
এর আগে গতকাল রবিবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট কার্ডের ডাটা যেন অপব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করছি, এটি নকল করা সম্ভব হবে না। এই উন্নত কার্ডই সব রকম সেবা দেবে। ঘরে বসেই এখন অনেক কিছু করা সম্ভব, যার সহায়ক হবে এই স্মার্টকার্ড।’
প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তরা) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের (রমনা থানা) ভোটারদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে ৩ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। যেকোনো ব্যক্তি ১০৫ নম্বরে ফোন করে তার স্মার্ট কার্ড বিতরণসংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন।
স্মার্ট কার্ডের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ২৫টি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন এবং মান নিশ্চিত করা হয়েছে। স্মার্ট কার্ডে কার্ডধারী নাগরিকের সব তথ্য থাকবে। কার্ডধারীরা ব্যাংকিং, টিআইএন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্টসহ ২২ ধরনের সেবা পাবেন।
এর মধ্যে আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা, ই-টিকেটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লাগবে। তবে আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়ের নম্বর এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, স্মার্টকার্ড প্রদানের জন্য দেশের ১০ কোটি নাগরিকের তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় ২০১৭ সালের মধ্যে ৯ কোটি নাগরিককে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।
এজন্য ব্যয় ধরা ৮৩ কোটি টাকা। প্রতিটি কার্ড বিতরণে ব্যয় হবে নয় টাকার বেশি। এছাড়া স্মার্ট প্রস্তুতে ব্যয় হয়েছে ২ ডলার। যার মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। এরপর ফি দিয়ে কার্ড নবায়ন করতে হবে
বিবার্তা/প্লাবন/সফিকুল