নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে লোকজনের চলাচলের প্রধান রাস্তাটির ধর-ধরারপাড় নামক স্থানে মাত্র আধাঁ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার ৩০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার বক্করের মোড় থেকে হরিনচড়া ইউনিয়নের বুড়িরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটি দিয়ে ওই ইউনিয়নসহ আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। বুড়িরহাট থেকে রাস্তাটি লক্ষীছাপ ইউনিয়ন দিয়ে রামগঞ্জ হাট হয়ে নীলফামারীর শহরে যাওয়ার সহজ রাস্তা এটি।
২০০৫ সালে রাস্তাটি পাকা করার পর ওই বছরেই নদীর ভাঙ্গনে ধর-ধরারপাড় নামক এলাকার আধাঁ কিলোমিটার রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাই-সাইকেল নিয়েও হেঁটে চলাচল করতে হয়। রিক্সা, ভ্যান প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে। বড় যানবাহন বা মালবাহী কোনো যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।
এ কারণে চরম বেকায়দায় পড়েছে ওই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে। ১০ বছর যাবৎ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ক্ষুদ্র পানি সম্পদ বিভাগের ইজ গেটটিও হুমকির মুখে পড়েছে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি ভাঙ্গার পর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পাইলিং এর ব্যাবস্থা করি সেটিও নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। সংস্কারের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে বার বার জানালেও কোন লাভ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলাপ্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিবার্তা/সুমন/জেমি/যুথি