অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গুলশানের রেস্টুরেন্টের অনাকাক্সিক্ষত দুঃখজনক ঘটনায় বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়বে না। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স অবস্থানের কারণে বিদেশিরা সন্তুষ্ট আছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট নগরীর রিকাবিবাজার-মীরের ময়দান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. চঞ্চল সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে জঙ্গিদের ব্যাপারে সরকার কোনো ছাড় দেবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এদের শেকড় খুঁজে বের করা হবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দেশে অনাকাঙ্খিত ট্রাজেডি হয়েছে। কম বয়সী ছেলে, যারা ভাল পরিবারে বড় হয়েছে, পড়ালেখা করেছে তারা বিপথগামী হয়ে এটি ঘটিয়েছে। এটি দেশের সন্মানহানী করেছে।’
যারা এই ঘটনায় শিকার হয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এরকম বিপথে যাবেন না- বলেও আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের কম দেখাশুনা করেন, ছেড়ে দেন, ছেলেমেয়ে যে যেভাবে ইচ্ছে চলাফেরা করে। এটা ঠিক নয়। তাদের কাছে রাখা দরকার, ভালবাসা দিয়ে স্কুলে নিয়ে যাওয়া দরকার। যে সন্তান ভালবাসা, স্নেহ মমতা পেয়েছে সে কখনো এরকম কাজ করতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডা. চঞ্চল সড়কের উদ্বোধন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেট নগরীর মানুষের চলাচল, যানচলাচলের সুবিধা করে দিতে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এই উদ্যোগ। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জমি দিয়ে এতে সহযোগিতা করায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
বক্তৃতা শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।পরে মন্ত্রী সড়কের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবীবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন, পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নূর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, তৌফিকুল হাদী, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে। প্রশস্তকরণ কাজে খরচ ৭৮ লাখ টাকা, ডিভাইডার ২৬ লাখ টাকা, ইলেকট্রিক বোল্ড ১২ লাখ টাকাসহ আরো ৩৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মীরের ময়দান থেকে পুলিশ লাইন হয়ে ব্লুবার্ড স্কুল পর্যন্ত একইভাবে প্রশস্তকরণ হবে। টেন্ডার হয়ে গেছে, ২ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এছাড়া ব্লু-বার্ড স্কুলের সামনের কালভার্ট নির্মাণে আরো ৩৮ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল