দশম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন রবিবার বিকাল ৫ টায় শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৫ সেপ্টেম্বর এ সংসদের অধিবেশন আহবান করেছেন। এটি হচ্ছে সংসদের শরৎকালীন অধিবেশন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন আহবান করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে হিসাবে ৬০ দিনের বাধ্যবাধ্যকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন ডাকায় এর মেয়াদকাল সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
তবে রবিবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় দ্বাদশ অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয় সংক্ষিপ্ত হলেও এ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাশ ও উত্থাপন ছাড়াও সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূর ওপর আলোচনা হতে পারে।
আসন্ন অধিবেশনের জন্য পুরনো ১১টি বিলসহ ১৫টি বিল সংসদে জমা পড়েছে। নতুন ৪টি বিল হচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) বিল ২০১৬, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৬, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডয়াইফারি কাউন্সিল বিল ২০১৬ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বিল ২০১৬।
এছাড়াও অধিবেশন চলাকালে আরো নতুন বিল জমা হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা থেকে জানানো হয়।
দ্বাদশ অধিবেশনের জন্য সংসদ সচিবালয়ে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উত্তর দানের জন্য সংসদস্যগণের পক্ষ থেকে প্রশ্ন জমা পড়েছে। এর বাইরে সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির বিভিন্ন ধরায় বেশ কিছু নোটিশও জমা পড়েছে।
এদিকে দশম জাতীয় সংসদের ১১তম (বাজেট) অধিবেশন গত ২৭ জুলাই শেষ হয়। গত ১ জুন ওই অধিবেশন শুরু হয়। একাদশ অধিবেশনে গত ২ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। গত ৩০ জুন এ বাজেট পাস করা হয়।
বাজেটের ওপর মোট ৬০ ঘণ্টা ৫০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মূল বাজেটের ৫৯ ঘণ্টা ১৪ মিনিট এবং সম্পূরক বাজেটের ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট আলোচনা হয়। বাজেট আলোচনায় সরকারী ও বিরোধী দলের মোট ২৪৬ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
মোট ৩২টি কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে ১৬টি সরকারি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৯৩টি নোটিশ পাওয়া যায়। নোটিশগুলো থেকে ১২টি গৃহীত নোটিশের মধ্যে ২টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১(ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ৫৬টি।
এছাড়া একাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ২৩১টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনি ৯১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। মন্ত্রীদের জন্য আনা ৪ হাজার ১৮৪টি প্রশ্নের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭১টি প্রশ্নের জবাব দেন।
ওই অধিবেশনে গুলশান, শোলাকিয়া, পবিত্র মদিনা ও ফ্রান্সসহ বিশ্বব্যাপী নিরীহ মানুষের উপর কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলায় ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবার্তা/রোকন/কাফী