বহুল আলোচিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউনেস্কো যে চিঠি দিয়েছে তার জবাব সাতদিনের মধ্যেই দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। একইসাথে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি থেকে সরকার সরছে না বলেও জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবন মিলনায়তনে ‘মিটিগেটিং চ্যালেঞ্জ ইন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার থর্ড রিসার্চ' শীর্ষক কর্মশালা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ সেন্টার (ইপিআরসি)।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘ইউনেস্কো রামপাল ও নদীর বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিয়েছে। রামপালে প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সংস্থাটি যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে, তা সঠিক নয়। এছাড়া ইউনেস্কো রামপাল নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এরপরও তাদের প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আমাদের টেকনিক্যাল বিষয় জানিয়ে চিঠির জবাব দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, সরকার এখন গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছে, বিদ্যুতেও দিচ্ছে। এ জায়গা থেকে আমাদের বের হতে হবে। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় যেন অবদান রাখতে পারে, আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি। আমার বিশ্বাস টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানলে, শঙ্কা থেকে ইউনেস্কো সরে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে এমনিতে আমরা অনেক দেরি করে ফেলেছি। দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী বছরে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়ের ফলে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে রামপালের মতো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকেই যেতে হবে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি