বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহের মরদেহ আগামীকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশে আনা হবে। আর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হবে শুক্রবার। বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হান্নান শাহের।
এদিকে হান্নান শাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শায়রুল কবির খান জানান, হান্নান শাহের সঙ্গে তার ছোট ছেলে শাহ রেজা হান্নান এবং মেয়ে শারমিন হান্নান রয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে হান্নান শাহের মরদেহ ঢাকায় আসবে। এরপর মরদেহ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মহাখালী ডিওএইচএসের জামে মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বাদ জোহর তৃতীয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চতুর্থ জানাজা হবে।
তিনি আরও জানান, নয়া পল্টনের জানাজার পর মরদেহ আবার সিএমএইচের হিমঘরে নেওয়া হবে। আগামী শুক্রবার গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলায় হান্নান শাহের পঞ্চম জানাজা হবে। এরপর কাপাসিয়া উপজেলায় হবে দুটি জানাজা। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হবে তার। মরহুমের প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরে হবে।
শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার হান্নান শাহের মৃত্যুর খবর শোনার পরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান তার মহাখালী ডিওএইচএস’এর বাসায় যান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর হান্নান শাহকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর তাকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। ওই হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, হান্নান শাহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। অবসরের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় তিনি মন্ত্রী ছিলেন পাট মন্ত্রণালয়ের।
সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সময় হান্নান শাহ’র ভূমিকা ‘ইতিবাচক’ ছিল। অবদান ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ ঢাকায় আনার পেছনে। ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বরেও জিয়ার পক্ষেই ছিল তার অবস্থান। সক্রিয় ছিলেন জিয়াপন্থীদের সঙ্গে। ১/১১ সময় দলের ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অবিচল থাকেন তিনি। এর পুরস্কার হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
বিবার্তা/জিয়া