রাজধানীর কল্যাণপুরে ‘জাহাজবাড়ি’ ভবনে অপারেশন স্ট্রম-২৬ অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে ইসলামী জনকল্যাণমূলক সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেলে কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। এরপর লাশগুলো জুরাইন কবরস্থানে দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।
সোহেল বলেন, ‘মৃতদেহগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য কোনো সংস্থার প্রয়োজন হতে পারে, সেটা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নমুনাও রাখা হয়েছে।’
এর আগে দাবিদার না থাকায় গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জনের লাশ গত ২২ সেপ্টেম্বর আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে পুলিশের ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ অভিযানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। ঘটনার পর থেকেই তাদের লাশ পড়ে ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে।
কল্যাণপুরে নিহতরা হচ্ছেন- দিনাজপুরের মো. আবদুল্লাহ, পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক, গুলশানের আকিফুজ্জামান খান, বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক, সাতক্ষীরার মতিউর রহমান, নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন এবং রংপুরের রায়হান কবির। আরেকজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুণছড়া ইউনিয়নের একটি পরিবার জানায়, নিহতদের একজন সাব্বিরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র। তার বাবার নাম আজিজুল হক চৌধুরী। যদিও অজ্ঞাত জঙ্গির লাশের আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে চট্টগ্রামের সাব্বিরুলের জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙ্গুলের ছাপ মেলেনি। তাই তাকে অজ্ঞাত হিসেবেই পুলিশ নথিভুক্ত করেছে।
বিবার্তা/আছিয়া/নিশি