সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার জন্মস্থান কুড়িগ্রামের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। প্রয়াত লেখকের ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও ভাই সৈয়দ আজিজুল হকসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ শামসুল হক। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেও সেখানে সৈয়দ হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ হকের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে। সেখানে জানাজার পর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ নেয়া হয় জন্মস্থান কুড়িগ্রামে। বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও লাশবাহী হেলিকপ্টারে করে কুড়িগ্রামে আসেন।
পরে মরদেহ নেয়া হয় কলেজ মাঠে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শ্রদ্ধা কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. তবারকউল্লাহ ও জেলা দায়রা জজ ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মণ্ডল, জেলা বিএনিপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা জাসদ সভাপতি ইমদাদুল হক ইমদাদ, জেলা সিপিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান মবিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্রাহাম লিংকনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ সৈয়দ হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নূর বখত। জানাজা শেষে লেখকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের দক্ষিণ পাশে কুড়িগ্রাম চিলমারী সড়ক ঘেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
বিবার্তা/ডিডি/মৌসুমী