পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বিশাল সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য লাগসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ব্লু ইকোনোমি দেশের অর্থনীতির একটি অসাধারণ ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
দেশের রফতানি বাণিজ্য একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খাতের বহুমাত্রিকতা আনা প্রয়োজন। কেননা চীন, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও সিসিলিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ব্লু ইকোনোমি কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখছে।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ব্লু ইকোনোমি বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণের পদ্ধতি যেমন জানতে হবে তেমনি অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের বিপুল সম্পদ আহরণে সময় ক্ষেপণ না করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ নগরীর
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অর্থনৈতিক এলাকা সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের মূল ভূখন্ডের সমপরিমাণ (প্রায় ৮১ ভাগ ) সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা সমুদ্রের পরিবেশ ও প্রতিবেশ নষ্ট না করে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
তিনি বলেন, উপকূল থেকে তিনশত পঞ্চাশ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিশাল সমুদ্র সম্পদের মালিক বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০১২ সালের পর থেকে আমাদের এ অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব তারিক উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ম্যারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ ভু-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল