তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়ন করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্য জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পথ দেখায় এবং সমাজ থেকে দুর্নীতি ও অন্যায় দূর করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে তথ্যের অভাব সমাজে দুর্নীতি ছড়াতে সহায়তা করে।
আবদুল হামিদ বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ হলো গণতন্ত্র ও সুশাসনের চালিকাশক্তি এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। একটি দেশের উন্নয়নের মান উঁচু হয় যখন সে দেশের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংহত করার জন্য জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরটিআই বিধি প্রণয়নের মূল লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতি দূর করা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমাজে তথ্য গোপনের একটি চর্চা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনগণকে তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করে সাধারণ মানুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানলে তাদের প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের কল্যাণ তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে সহায়তা করে। এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক এম গোলাম রহমান, তথ্য সচিব মর্তুজা আহমেদ, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার ও অধ্যাপক খুরশিদা বেগম সাঈদ ও আরটিআই ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম।
বিবার্তা/আমিন/রয়েল