কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ২ কোটি ৮ লাখ তের হাজার ৪৭৭টি কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বিতরণকৃত কৃষি উপকরণ কার্ডের মধ্যে কৃষকের মাঝে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ২০৩টি ও কৃষাণীর মাঝে ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৭৪টি কার্ড বিতরণ করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সুলভ ও ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে। বর্তমানে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের বাজার মূল্য কেজি প্রতি যথাক্রমে ১৬ টাকা, ২২ টাকা, ১৫ টাকা এবং ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অগ্রাধিকার প্রদান। উচ্চ ফলনশীল ও মানসম্পন্ন বীজের সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বা খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে আধুনিক লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও স¤প্রসারণ করা হয়েছে। দক্ষিণ অঞ্চলে ভাসমান চাষাবাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন এবং দক্ষিণ অঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় বারি গম ২৫ এবং তাপ সহিষ্ণু বারি গম ২৬ জাতের গম চাষ স¤প্রসারণ করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় ২০১৫-১৬ সালে আলু ও সবজির উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৮-০৯ সালে যেখানে আলু ও সবজির উৎপাদন হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ দশমিক ৪৬ ও ১০৬ দশমিক ২২ লাখ মেঃ টন সেখানে ২০১৫-১৬ সালে আলু ও সবজি উৎপাদন হয় যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ৬৪ ও ১৫২ দশমিক ৬৪ লাখ মে. টন।
বিবার্তা/রোকন/কাফী