বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে কয়েক হাজার হতদরিদ্র পরিবার সেপ্টেম্বর মাসে ১০ টাকা দরে চাল কেনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কর্তব্যরতদের প্রভাব বিস্তার, সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতা ও উদাসীনতায় শুরুতেই অব্যবস্থাপনার শিকার হলো প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি।
এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মোট সুবধাভোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের নয় হাজার ৮৮৯ জন সুবিধাভোগী এই চাল কিনতে পারেননি। ডিলার নিয়োগে জটিলতা, সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুতে বিলম্ব ও সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতার কারণে ছয়টি ইউনিয়নে চাল ক্রয়-বিক্রয় হয়নি। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, পঞ্চকরণ, পুটিখালী, দৈবজ্ঞহাটি, চিংড়াখালী, বহরবুনিয়া ও জিউধরা।
সূত্রমতে, মোড়েলগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ডিলার ও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ডিলার নিয়োগ থেকেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। ফলে প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি এবং কাটাছেড়া করতে গিয়ে সময় চলে গেছে অনেকের। দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে একই গ্রাম থেকে নেয়া হয়েছে তিনজন ডিলার। ওই ইউনিয়নের ডিলারগণ এখনো পর্যন্ত টাকা জমা করেননি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক ইউনিয়ন থেকে যথাসময়ে তালিকা দেয়া হয়নি। তবে তাদের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজ্জাক মজুমদার, শাহজান মিয়া শামীম, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা অভিযোগ করে বলেন, খাদ্য গুদামে চাল না থাকায় তারা চাল সংগ্রহ করতে পারেননি।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ ছিল না, এখনো নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাগেরহাট জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের চাল যেসকল ইউনিয়ন তুলতে পারেনি তারা আর পাবে না। ওটা বাতিল হয়ে গেছে। কাগজপত্র ও টাকা জমা করতে পারলে চলতি মাস অক্টোবর থেকে পাবে।
বিবার্তা/রাজু/জেমি