রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-২-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব বলছে, এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাম আল আনসার। র্যাবের অভিযানে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা মো. রাশেদুল আলমসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক জিহাদি বই ও প্রশিক্ষণসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, হরকাতুল জিহাদ (হুজি) থেকে বের হয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘আল-আনসার’ গড়ে তুলে মাওলানা মো. রাশিদুল আলম (২৫)। গত ৮ মাস ধরে সাংগঠনিক ভাবে এর কার্যহক্রম শুরু করেন তারা।
নতুন এই সংগঠনটি বিভিন্ন মাদ্রাসা ও প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী সংগ্রহ করে বগুড়া ও চট্টগ্রামে তাত্বিক ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হতো বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডর মুফতি মাহমুদ খান।
বুধবার (০৩ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে র্যাব-২ এর কার্যাযলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন মিয়া(৩০), মো. রাইসুল ইসলাম হাওলাদার(২৫), আবু বক্কর মনির(২৩) ও আব্দুল মালেক(৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো কর্মী সংগ্রহ ও তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া। এর জন্য তারা বিভিন্ন ছদ্দবেশে হাজারীবাগ এলাকায় ওই বাড়িতে থাকতো।
এদের মধ্যে মাওলানা রাশিদুল আলম আরবী ভাষায় খুব পারদর্শী। দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রকাশিত বক্তব্য, ভিডিও ও অডিও বার্তা, বই আরবী থেকে বাংলায় অনুবাদ করতো। আর এই কাজে উপার্জনের টাকাই সংগঠনের কাজে ব্যয় করতেন।
তিনি বলেন, সংগঠনের অন্য সদস্যরাও রিকসা ও গাড়ি চালক হিসেবে ছদ্দবেশে থাকতেন। তাদের উপার্জনের টাকাও ব্যয় হতো সংগঠন পরিচালনায়। এছাড়াও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনার জন্য দেশী বিদেশী কোনো অর্থদাতা রয়েছে কি-না সে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এই ৫ সদস্য ছাড়া ওয়ালীদ হামজা ও ওয়ালীদ হোসাইন নামের দুইজন সংগঠনের নতুন কর্মী সংগ্রহের কাজ করতেন। এরা দুইজন বিভিন্ন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ২-৩ মাস পড়াশোনা করেন সেখানে নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হয়ে আবার অন্য মাদ্রাসায় চলে জান। পরে তাদের একত্রে করে এই সংগঠনের জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে আসতেন।
তিনি বলেন, এই সংগঠনের আরও সদস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিবার্তা/আলী/রয়েল