গুলশান হত্যাকাণ্ডের পর ‘জিম্মি দশা’ থেকে মুক্ত সন্দেহভাজন তাহমিদ হাসিব খানকে ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর কোনো অভিযোগ আনেনি পুলিশ। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ।
তাহমিদের সঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমকে এরইমধ্যে গুলশান হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মি নিহত হওয়ার পরের সকালে সেখান থেকে উদ্ধার ১৩ জনের মধ্যে ছিলেন তাহমিদ ও হাসনাত।
এ ঘটনায় উদ্ধারদের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সে সময় তাহমিদ ও হাসনাত বাসায় ফেরেননি বলে তাদের পরিবারের অভিযোগ।
এরপর গত ৩ অগাস্ট এই দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।
পরে আদালতের অনুমতিতে জিজ্ঞাসাবাদে হাসনাত করিমের বিরুদ্ধে গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের প্রথম আসামি হিসেবে হাসনাত রিমান্ডে রয়েছেন।
তবে তাহমিদকে এদিন আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। নতুন করে রিমান্ড আবেদন ছিল না বলেও জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
এ সময় তাহমিদের জামিন আবেদন হলে শুনানি শেষে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন।
তাহমিদের বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, “তাহমিদের ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। এরমধ্যে ১৪ দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”
জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে কিছু পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা ঠিক হবে না।”
কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ গুলশান হামলার একদিন আগে দেশে ফেরেন। ওই দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
ওই হামলার কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গি রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ও হাসনাত করিমের সঙ্গে হলি আর্টিজানের ছাদে তাহমিদকে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে।
বিবার্তা/ইডি/ইফতি