জাগৃতি প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মূল আসামি সিফাত ওরফে শামীম ওরফে মঈনুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম জাগৃতি প্রকাশক দীপন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবিটি সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। দীপনকে হত্যার করার জন্য ১ মাসের প্রশিক্ষণ নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, প্রকাশক দীপন হত্যাকাণ্ড ছাড়াও সে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সাভারে রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডতে সরাসরি অংশ নেয়। সে আনসার আল ইসলামের (এবিটি) বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে বলে জানায়।
গ্রেফতার সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ জুন ব্রিজ এলাকায় বাস স্টেশন থেকে প্রকাশক টুটুল হত্যা চেষ্টায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মোঃ সুমন হোসন ওরফে শাকিব ওরফে শিহাব ওরফে সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সাইফুল এর তথ্যের ভিত্তিতে মইনুল হাসান শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন -এর পক্ষ থেকে ২ লাক্ষ টাকা পুরুস্কার ঘোষণা করা হয়।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর তারিখে আজিজ সুপার মার্কেটে ও লালমাটিয়ায় জাগৃতি প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ও শুদ্ধস্বর প্রকাশক আহমেদ রশিদ টুটুলের উপর আনসার আল ইসলাম এর সদস্যরা হামলা চালায়। এতে দীপন নিহত এবং টুটুলসহ তিন জন আহত হন। এই ঘটনায় শাহবাগ ও মোহাম্মাদপুর থানায় দুটি মামলা করা হয়।
বিবার্তা/আলী/যুথি