চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক পণ্যের মধ্যে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ হাজার ৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৬৩৫ কেজি গাঁজা, ২২ হাজার ১৩৮ বোতল বিদেশী মদ, ৪ কেজি ৩২৮ গ্রাম হেরোইন, ৬ হাজার ৮০৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭০৯ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট রয়েছে।
এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার ১৯১টি শাড়ি, ৪ হাজার ৪৭০টি থ্রিপিস-শার্টপিস, ৭ হাজার ৯১৮ মিটার থান কাপড়, ২ হাজার ৯১৭ সিএফটি কাঠ, ১ কেজি ৩২৯ গ্রাম স্বর্ণ, দুটি তক্ষক এবং দুটি কষ্টিপাথরের মূর্তি। এসময় বিজিবি তিনটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং তিন কেজি গানপাউডার উদ্ধার করে।
আগস্টে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত ১৩৫ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৮৪ জন বাংলাদেশী আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৯৮ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি থেকে আগস্ট) বিজিবি সর্বমোট ৬১৯ কোটি ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করেছে।
গত ৮ মাসে বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারসহ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ১৪৩ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৯৬৬ জন বাংলাদেশী আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২ হাজার ৮০৫ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
বিবার্তা/প্লাবন