গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহত পাচঁ জঙ্গি ও তাদেরকে সহায়তাকারী বাবুর্চির লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জুরাইন কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। কিন্তু শেষবারের মতো তাদের লাশ দেখতে আসেনি কোনো স্বজন।
নিহত তরুণদের মধ্যে একজনের বাবা জানান, পুলিশ তাদের খবর না দিলেও ‘আঞ্জুমানের একজনের কাছ থেকে’ তিনি জুরাইনে ছয়জনকে দাফনের বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দাবিদারহীন হিসেবে ছয়টি লাশ আঞ্জুমানকে দেয়া হয়েছে। ওই লাশগুলোর দাবি নিয়ে স্বজনদের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান গত ২৩ অগাস্ট জানান, নিহত ছয়জনের ডিএনএর সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ মিলিয়ে তারা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে পরিবারের কেউ লাশ চেয়ে লিখিত আবেদন করেননি এবং লাশ নেয়ার নেয়ার বেপারে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে পাওয়ার পর বিকালের মধ্যেই জুরাইন কবরস্থানে ছয়জনকে দাফন করা হয় বলে আঞ্জুমানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ১ জুলাই রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের ওই ক্যাফেতে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সশস্ত্র বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে জেএমবি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ।
ওই ছয়জনের মধ্যে শরীয়তপুরের সাইফুল চৌকিদার নামে একজন ছিলেন ওই বেকারির বাবুর্চি । তিনিও ‘হামলাকারীদের সঙ্গে থেকে তাদের সহায়তা করেন’ বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
নিহত পাঁচ জঙ্গির মধ্যে নিবরাস ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। আর রোহান ইবনে ইমতিয়াজ পড়তেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। মীর সামিহ মোবাশ্বের স্কলাস্টিকার ছাত্র ছিলেন।
এছাড়া বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৈয়াগাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং শাহজাহানপুর উপজেলার খায়েরুজ্জামান মাদ্রাসা ছাত্র ছিলেন।
আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আঞ্জুমানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কফিনগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিবার্তা/ঢালী/কাফী