বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের সাথে থাইল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপি বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে সিপি বাংলাদেশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সরাসরি চাকরি প্রদানের লক্ষ্যে আগ্রহী অনার্স ও মার্স্টাস শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত ও সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিপি বাংলাদেশ-এর কনসালটেন্ট ড. মো. আবদুল বাকি, মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, মানবসম্পদ বিভাগের রিক্রুটম্যানট অফিসার এএসএম সায়েম ও তরঙ্গ কার্জিটন রোজিরিও।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সিপি বাংলাদেশ-এর কনসালটেন্ট ড. মো. আবদুল বাকি।
আরো বক্তব্য দেন, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. একেএম নওশাদ আলম, একোয়াকালচার বিভাগের প্রধান ড.এমএ সালাম।
এসময় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক, অনুষদীয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের ওপর তথ্যবহুল প্রেজেনটেশন দেন মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। পরে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও তাদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়।
সিপি বাংলাদেশ-এর বাকৃবির পশুপালন অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদের সাথে সিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করলেও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সাথে এই প্রথম উদ্যোগ।
এ বিষয়ে বাকৃবির অধ্যাপকরা বলেন, সিপি বাংলাদেশের সাথে এটা আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা। তাদের এ উদ্যোগে আমাদের ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীদের আরো দক্ষ করে তুলতে সিপির বিভিন্ন খামার পরিদর্শনের সুযোগ ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিলে এটি আরো কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে সিপি বাংলাদেশ-এর মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা মৎস্য সেক্টরে এখন গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের এখানে ১ হাজার ২০৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন, যার মধ্যে ১১৫জন কৃষিবিদ। এরমধ্যে ১০৭জনই বাকৃবির গ্রাজুয়েট।
বিবার্তা/শাহীন/কাফী