জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দেখবেন বলে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে শরীফুল ইসলামের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাকে, পরিকল্পনামন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে যে সমস্যাগুলো আছে তা সমাধানে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, একনেকের পরবর্তী বৈঠকেই জগন্নাথের প্রকল্পটি ওঠানো হবে।’
নতুন দাবির কথা জানিয়ে শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘কেরাণীগঞ্জে যে জায়গা আছে, তাতে আরো নতুন হল নির্মাণ করা যাবে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য আরো নতুন হল নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে এক বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে শিক্ষামন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত একেনেকে ওঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পৌনে ৩০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে কেরাণীগঞ্জে ছাত্রদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু হল, ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান ভবন ভেঙ্গে ২০ তলাবিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
শরীফুল জানান, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমি নিজে জগন্নাথের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল অপরিকল্পিতভাবে। ফলে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করব।’
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট থেকে হলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিবার্তা/আদনান/নিশি