জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন করতে হলে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা জরুরি, কিন্তু আমি এখানে অনেক সময় দ্বিমত পোষণ করি। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমাদের ঐক্য গড়ে উঠেনি। অনেকেই সেসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। সুতরাং এখনো শতভাগ ঐক্য হবে না, কেন হবে না সেটা আপনারা মিডিয়ায় বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর বক্তব্যেই দেখতে পাচ্ছেন।
রবিবার সকালে জবির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি, শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ি’ স্লোগানকে সামনে রেখে এক প্রতিবাদ সভায় উপাচার্য এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন করতে হলে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের স্বীকার করতে হবে; আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি মোকাবেলায় যতটুকু সাফল্য দেখিয়েছে, সেখানে পৃথিবীর খুব কম দেশই এমন সাফল্য দেখানোর সুযোগ পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহে জঙ্গিবিরোধী মতবাদ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া সমাজের প্রগতিশীল লেখক, শিল্পী, সমাজকর্মীদের তাদের লেখনী ও কর্মের মাধ্যমে সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জঙ্গিবাদকে ‘না’ বলে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ নেন।
বিবার্তা/আদনান/নিশি