জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আতাউল্লাহ হাসান নামে মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে একই বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে ওই ছাত্রী দাবি করেন, ২০১২ সালে আতাউল্লাহ গোপনে তাকে বিয়ে করেন। এরপর সম্পর্ক ভাঙার দোহাই দিয়ে অনার্স পাশের পর তাকে মাস্টার্সে ভর্তি হতে দেননি তিনি। এর কিছু দিন পর অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত। একসময় অভিযোগকারী ছাত্রীকেই স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন।
এরমধ্যে অভিযোগকারী ছাত্রী সোমবার আতাউল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তারা বাসে চড়লে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে ওই ছাত্রীকে বাস থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন আতাউল্লাহ। এরপর তাকে মারধর করে কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলেন।
নির্যাতিতা ছাত্রী বলেন, “সে আমার সঙ্গে এক ছেলেকে জড়িয়ে কুৎসা রটাতে থাকে এবং স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমাকে মারধর করে। পরে নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।”
এ বিষয়ে আতাউল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হলে বাসায় এসে জানতে পারি এক ছাত্রী প্রক্টর অফিসে যৌন নির্যাতনের একটি অভিযোগ দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো।”
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) পারভেজ ইসলাম।
বিবার্তা/আদনান/ইফতি