ঘরের শোভা বৃদ্ধিতে বাহারি ফুলদানি

ঘরের শোভা বৃদ্ধিতে বাহারি ফুলদানি
প্রকাশ : ০১ মে ২০১৬, ১০:২৩:৪৬
ঘরের শোভা বৃদ্ধিতে বাহারি ফুলদানি
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+
ফুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ নেই। অনেকের আবার ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে বেশ পছন্দ। তবে এই ফুলের সাথে ফুলদানির একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ফুলদানির বহুমুখি ব্যবহার ঘরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে। কেননা, টেবিল থেকে শুরু করে শোকেস, বেডসাইড টেবিল কিংবা কর্নার টেবিল সব জায়গাতেই ফুলদানি মানিয়ে যায়। 
 
এছাড়াও সুন্দর কারুকার্য করা ফুলদানি শোপিস হিসেবে এক কর্নারে ফুল ছাড়াও সাজিয়ে রাখা যায়। বর্তমানে মানুষের রুচির কথা বিবেচনা করে বিক্রেতারাও দোকানে রাখছেন বাহারি রঙের নানান ডিজাইনের হরেক রকম ফুলদানি। দেশি ফুলদানির পাশাপাশি চাইনিজ, জাপানিজ, থাই, ইরানি ও ইন্ডিয়ান ফুলদানিও বেশ জায়গা করে নিয়েছে আমাদের বাজারে। 
 
ফুলদানির আকারেও এসছে বেশ পরিবর্তন। ছোট, মাঝারি কিংবা বড় আবার ত্রিভুজ, চারকোনা অথবা গোল বা ডিম্বাকৃতি বিভিন্ন আকারের ফুলদানি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ফুলদানির সঙ্গে ঘড়ি কিংবা পেনহোল্ডার লাগানো, কোনোটাকে আবার দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা আছে।
 
তবে ঘর সাজাতে ফুলদানি কেনার সময় অবশ্যই আসবাবের সাথে মানানসই ফুলদানি কিনতে হবে। আর এজন্যই ঘরের আকৃতির সাথে মিলিয়ে ফুলদানির আকৃতি নির্বাচন করতে হবে। ঘরের প্রবেশপথের দু’পাশে বড় আকারের দুইটি ফুলদানি রাখা যায়। ফুলদানিতে ফুলের পাশাপাশি মানিপ্ল্যান্টও সাজানো যায়। 
 
ঘরের কোণে বড় আকৃতির সিরামিক কিংবা মাটির ফুলদানি ঘরের শোভাকে বেশ বাড়িয়ে দিবে। খাবার টেবিলে অবশ্যই মাঝারি অথবা ছোট আকৃতির ফুলদানি ব্যবহার করতে হবে। সিরামিক অথবা ক্রিস্টালের চল এখন বেশ প্রচলিত আছে। 
বসার ঘরটি চট বড় যে আকারেরই হোক না কেন, তাতে ফুলদানির ব্যবহার যেন করতেই হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কার্পেট অথবা আসবাবের রঙের সাথে মিলিয়ে ফুলদানি কিনতে হবে। এছাড়াও সোফার টেবিলে মাঝারি আকৃতির ফুলদানিতে তাজা ফুলের সমারোহ বেশ মানানসই।
 
কোথায় পাবেন
ফুলদানি কিনতে হলে আপনাকে যেতে হবে আড়ং, যাত্রা, মেলা, দুর্লভ, নন্দনের মতো দোকানগুলোতে। এ ছাড়া নিউমার্কেট, কার্জন হলের সামনে, কলাবাগান, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, আলমাস সুপার শপ, রাপা প্লাজা, মাসকট প্লাজা, প্রিন্স প্লাজায় আপনার মনের মতো ফুলদানি পাবেন। 
 
দাম
ফুলদানির মধ্যে বাঁশ, বেত ও কাঠের ফুলদানির দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা। মাটির ফুলদানি পাবেন ৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। প্লাস্টিকের ফুলদানি কিনতে হলে গুনতে হবে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা। সিরামিকের বাহারি রঙের ফুলদানির দাম পড়বে ২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। ক্রিস্টালের ফুলদানির দাম পড়বে ৮০০ থেকে ৬০০০ টাকা। ইরানিগুলো ১০০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় কিনতে পাবেন, চাইনিজগুলো কিনতে গেলে গুনতে হবে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
 
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2025 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com