আজকের নাগরিক জীবনে সবারই যেন সময়ের বড়ো অভাব। ব্যাংকের কাউন্টারে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টাকা ওঠানো তাই যেমন বিরক্তিকর, তেমনি সময়সাপেক্ষ। আর এসব দিক বিবেচনা করেই ব্যাংকগুলো চালু করেছে এটিএম বুথ।
এতে যখন-তখন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ঘটেছে যুগান্তকারি পরিবর্তন। কিন্তু কিছু বিড়ম্বনাও জড়িয়ে গেছে সেই সাথে। তাই এটিএম বুথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। আসুন জেনে নিই তেমন কিছু বিষয়-
১। ব্যস্ত এলাকায় থাকা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলুন।
২। যখন লোকজনের ভিড় থাকবে, সেই সময়ে এটিএম-এ টাকা তুলবেন।
৩। টাকা ওঠানোর আগে এটিএম মেশিনটি ভালো করে দেখে নিন। অনেক সময় প্রতারকরা কার্ড হোল্ডারের জায়গায় নকল প্যানেল বসিয়ে রাখে। এতে কার্ডের নম্বর সেই প্যানেলে উঠে যায়। অনেক সময় টাকা বের হওয়ার জায়গায় পাতলা কার্ড ঢুকিয়ে রাখা হয়। এতে টাকা তুললেও তা বাইরে আসে না। আপনি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে গেলে সেই পাতলা পাত সরিয়ে টাকা বের করে নেয় দুষ্কৃতিকারীরা। আবার অনেক সময় প্রতারকরা এটিএম-এর ভেতরে ক্যামেরা রাখে, যাতে আপনার এটিএম পিন নম্বর রেকর্ড করা যায়।
৪। এটিএম-এ কোনো অপরিচিত ব্যক্তির সাহায্য নেবেন না। সাহায্য চাওয়ার আগে বোঝার চেষ্টা করুন লোকটার মতিগতি। আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসা লোককে এড়িয়ে চলুন। এটিএম-এ কোনো সাহায্যের দরকার হলে সেখানে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য নিন।
৫। কার্ড এটিএম-এ ফেলে রেখে আসবেন না। এটিএম মেশিনে কার্ড আটকে গেলে হতাশ হয়ে বাইরে বের হবেন না। নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য নিন অথবা ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার-এ ফোন করে বিষয়টি জানান।
৬। এটিএম মেশিনে পিন দেয়ার আগে নিশ্চিত হোন, আশপাশে কেউ নেই। পারলে যতটা আড়াল করে পিন নম্বর দেয়া যায় সেটাই করুন।
৭। এটিএম-এ ঢোকার সময় ভালো করে খেয়াল করুন। কোনোভাবে কিছু সন্দেহজনক লাগলে, তা হলে টাকা তোলার কাজ বাতিল করুন।
৮। ট্রানজাকশনের পরে রিসিট নিতে ভুলবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজের ট্রানজাকশন ঠিক হয়েছে বলে মন থেকে নিশ্চিত হতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত রিসিটটি সঙ্গে রাখুন। আমাদের অভ্যাসই আছে, ট্রানজাকশন শেষে রিসিট এটিএম-এর ডাস্টবিনে ফেলে দিই। এটা না করাই বাঞ্ছনীয়।
৯। এটিএমে ঢোকার পরে পারলে দরজা বন্ধ করে দিন। অনেক সময়ে খোলা দরজা দিয়ে সন্তর্পণে এটিএম-এ ঢুকে যায় দুর্বৃত্তরা। আক্রমণ করে বসে গ্রাহককে। এমন বহু ঘটনা ঘটেছে।
১০। টাকা তুলেই এটিএম-এ গুণতে শুরু করবেন না। বরং একটা নিরাপদ স্থানে এসে টাকাটা গুনে নিন। কোনো ভুল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের কাস্টমার সেকশনে অভিযোগ দায়ের করুন।
উল্লিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখলে এটিএম বুথ ব্যবহার সংক্রান্ত বিড়ম্বনা অনেকাংশেই এড়ানো সম্ভব।
বিবার্তা/কাফী